4. সাপটাকে পৌলের হাতে ঝুলতে দেখে সেই দ্বীপের লোকেরা বলাবলি করতে লাগল, “এই লোকটা নিশ্চয়ই খুনী, কারণ সাগরের হাত থেকে রক্ষা পেলেও ন্যায়দেবতা তাকে বাঁচতে দিলেন না।”
5. কিন্তু পৌল যখন হাত ঝাড়া দিয়ে সাপটা আগুনে ফেলে দিলেন তখন তাঁর কোনই ক্ষতি হল না।
6. লোকেরা ভাবছিল তাঁর দেহ ফুলে উঠবে বা হঠাৎ তিনি মারা যাবেন। কিন্তু অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও তাঁর কিছু হল না দেখে তারা মত বদলে বলতে লাগল, “উনি দেবতা।”
7. সেই জায়গার কাছেই পুব্লিয় নামে সেই দ্বীপের প্রধান লোকের একটা জমিদারি ছিল। পুব্লিয় তাঁর বাড়ীতে আমাদের ডাকলেন এবং তিন দিন ধরে খুব আদরের সংগে আমাদের সেবা-যত্ন করলেন।
8. সেই সময় পুব্লিয়ের বাবা জ্বর ও আমাশা রোগে বিছানায় পড়ে ভুগছিলেন। পৌল ভিতরে তাঁর কাছে গিয়ে প্রার্থনা করলেন এবং তাঁর গায়ে হাত দিয়ে তাঁকে সুস্থ করলেন।
9. এই ঘটনার পরে সেই দ্বীপের বাকি সব রোগীরা এসে সুস্থ হল।
10. তারা নানা ভাবেই আমাদের সম্মান দেখাল এবং পরে জাহাজ ছাড়বার সময় আমাদের দরকারী সমস্ত জিনিসপত্র জাহাজে বোঝাই করে দিল।
11. এর তিন মাস পরে আমরা একটা জাহাজে করে যাত্রা করলাম। জাহাজটা সেই দ্বীপেই শীতকাল কাটিয়েছিল। সেটা ছিল আলেক্জান্দ্রিয়া শহরের জাহাজ এবং তার মাথায় যমজ দেবের মূর্তি খোদাই করা ছিল।
12. আমরা সুরাকুষে জাহাজ বেঁধে সেখানে তিন দিন রইলাম।
13. সেখান থেকে যাত্রা করে আমরা রীগিয়তে পৌঁছালাম। পরের দিন দখিনা বাতাস উঠল এবং তার পরের দিন আমরা পূতিয়লীতে পৌঁছালাম।
14. সেখানে আমরা কয়েকজন বিশ্বাসী ভাইয়ের দেখা পেলাম। তাদের সংগে সপ্তাখানেক কাটাবার জন্য তারা আমাদের অনুরোধ করল। এইভাবে আমরা রোমে আসলাম।
15. সেখানকার বিশ্বাসী ভাইয়েরা আমাদের আসবার খবর শুনেছিল। পথে আমাদের সংগী হওয়ার জন্য তাদের কেউ কেউ আপ্পিয়েরহাট, কেউ কেউ তিন- সরাই গ্রাম পর্যন্ত এসেছিল। এই লোকদের দেখে পৌল ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং তিনি নিজে উৎসাহ পেলেন।