2-3. পৌলকে ডেকে আনা হলে পর তর্তুল্ল এই বলে পৌলের দোষ দেখাতে লাগলেন, “হে মাননীয় ফীলিক্স, আপনার অধীনে আমরা অনেক দিন ধরে খুব শান্তিতে আছি। আপনি আপনার জ্ঞান দ্বারা এই জাতির অনেক উন্নতি করেছেন। এর জন্য আমরা সব সময় সব জায়গায় আপনাকে আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে থাকি।
15. তাঁরা যেমন আশা করেন তেমনি আমারও ঈশ্বরের উপর এই আশা আছে যে, সৎ কিম্বা অসৎ সবাইকে আবার জীবিত করা হবে।
16. সেইজন্য আমি ঈশ্বর ও মানুষের কাছে সব সময় আমার বিবেককে পরিষ্কার রাখবার চেষ্টা করি।
17. “অনেক বছর পরে আমি যিরূশালেমে গিয়েছিলাম যেন আমার জাতির গরীব লোকদের কিছু টাকা-পয়সা দিতে পারি এবং পশু উৎসর্গ করতে পারি।
18. নিজেকে শুচি করবার পর যখন আমি সেই কাজ করছিলাম তখনই তাঁরা আমাকে উপাসনা-ঘরে দেখতে পেয়েছিলেন। আমার কাছে লোকজনের ভিড়ও হয় নি বা আমাকে নিয়ে কোন গোলমালও হয় নি।
19. কিন্তু এশিয়া প্রদেশের কয়েকজন যিহূদী সেখানে ছিল। আপনার কাছে সেই যিহূদীদেরই আসা উচিত ছিল এবং আমাকে দোষ দেবার যদি কিছু থাকে তবে তাদেরই তা দেওয়া উচিত ছিল।
20. কিম্বা এখানে যাঁরা উপস্থিত আছেন তাঁরাই বলুন, আমি যখন মহাসভার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন তাঁরা আমার কি দোষ পেয়েছিলেন।
21. কেবল এই একটি বিষয়ে তাঁরা আমার দোষ দিতে পারেন যে, আমি তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বলেছিলাম, ‘মৃতদের আবার জীবিত হয়ে উঠবার বিষয় নিয়ে আজ আপনাদের সামনে আমার বিচার হচ্ছে।’ ”
22. যীশুর পথের বিষয়ে ফীলিক্স খুব ভাল করেই জানতেন। তিনি বিচার করা বন্ধ করে বললেন, “প্রধান সেনাপতি লুসিয় আসলে পর আমি তোমাদের বিচার শেষ করব।”
23. তিনি পৌলকে পাহারা দেবার জন্য শতপতিকে আদেশ দিলেন, কিন্তু তাঁকে কিছুটা স্বাধীনভাবে রাখতে বললেন। তিনি অনুমতি দিলেন যেন পৌলের বন্ধুরা এসে দরকার মত তাঁর দেখাশোনা করতে পারে।
24. কয়েক দিন পরে ফীলিক্স তাঁর যিহূদী স্ত্রী দ্রুষিল্লাকে সংগে করে আসলেন। তিনি পৌলকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর কাছে খ্রীষ্ট যীশুর উপর বিশ্বাসের কথা শুনলেন।
25. পৌল যখন সৎভাবে চলা, নিজেকে দমনে রাখা এবং আগামী বিচারের বিষয়ে বললেন, তখন ফীলিক্স ভয় পেয়ে বললেন, “তুমি এখন যাও; সময়-সুযোগ মত আমি তোমাকে ডেকে পাঠাব।”
26. তিনি আশা করেছিলেন পৌল তাঁকে ঘুষ দেবেন। সেইজন্য বারবার পৌলকে ডাকিয়ে এনে তিনি তাঁর সংগে কথা বলতেন।
27. দু’বছর পার হয়ে গেলে পর ফীলিক্সের জায়গায় পর্কীয় ফীষ্ট আসলেন। ফীলিক্স যিহূদীদের খুশী করবার জন্য পৌলকে জেলখানাতেই রেখে গেলেন।