21. আপনি তাদের কথায় রাজী হবেন না, কারণ চল্লিশজনেরও বেশী লোক লুকিয়ে থেকে পৌলের জন্য অপেক্ষা করে আছে। পৌলকে খুন না করা পর্যন্ত এই লোকেরা কিছু খাবে না বলে শপথ করেছে। তারা প্রস্তুত হয়ে এখন কেবল আপনার রাজী হবার অপেক্ষায় আছে।”
22. প্রধান সেনাপতি সেই যুবককে বিদায় করবার সময় এই আদেশ দিলেন, “এই কথা যে তুমি আমাকে জানিয়েছ তা কাউকে বোলো না।”
23. পরে প্রধান সেনাপতি তাঁর দু’জন শতপতিকে ডেকে বললেন, “দু’শো সাধারণ সৈন্য, সত্তরজন ঘোড়সওয়ার সৈন্য এবং দু’শো বর্শাধারী সৈন্যকে আজ রাত ন’টার সময় কৈসরিয়াতে যাবার জন্য প্রস্তুত রাখ।
24. আর পৌলের জন্যও ঘোড়ার ব্যবস্থা কোরো যাতে তাকে নিরাপদে প্রধান শাসনকর্তা ফীলিক্সের কাছে নিয়ে যাওয়া যায়।”
25. প্রধান সেনাপতি এই চিঠি লিখলেন:
26. “আমি, ক্লৌদিয় লুসিয়, মহান শাসনকর্তা ফীলিক্সের কাছে এই চিঠি লিখছি। আমার শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
27. “যিহূদীরা এই লোকটিকে ধরে প্রায় খুন করে ফেলেছিল, কিন্তু আমি আমার সৈন্যদের নিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এনেছি, কারণ আমি জানতে পারলাম সে একজন রোমীয়।
28. পরে আমি জানতে চাইলাম কেন লোকেরা তাকে দোষী করছে। সেইজন্য তাদের মহাসভার কাছে আমি তাকে নিয়ে গেলাম।
29. আমি বুঝতে পারলাম যে, তাদের ধর্মের আইন-কানুনের বিষয় নিয়ে তারা তাকে দোষী করছে, কিন্তু মরবার বা জেলে যাবার মত এমন কোন দোষ তার নেই।
30. যখন আমি জানতে পারলাম লোকেরা এই লোকটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে তখনই আমি তাকে আপনার কাছে পাঠালাম। যারা তাকে দোষী করছে তাদেরও আমি আদেশ দিলাম যেন তারা এর দোষের বিষয়ে আপনার কাছে বলে।”
31. তখন সৈন্যেরা প্রধান সেনাপতির আদেশ মত পৌলকে রাতের বেলা তাদের সংগে করে আন্তিপাত্রি শহর পর্যন্ত নিয়ে গেল।
32. পরের দিন তারা ঘোড়সওয়ার সৈন্যদের সংগে পৌলকে পাঠিয়ে দিয়ে সেনানিবাসে ফিরে গেল।
33. ঘোড়সওয়ার সৈন্যেরা কৈসরিয়াতে পৌঁছে চিঠিখানা ও পৌলকে প্রধান শাসনকর্তার হাতে দিল।
34. প্রধান শাসনকর্তা চিঠিখানা পড়ে পৌল কোন্ জায়গার লোক তা জিজ্ঞাসা করলেন। পৌল যে কিলিকিয়া প্রদেশের লোক সেই কথা জানতে পেরে তিনি বললেন,