2. তখন হঠাৎ আকাশ থেকে জোর বাতাসের শব্দের মত একটা শব্দ আসল এবং যে ঘরে তাঁরা ছিলেন সেই শব্দে সেই ঘরটা পূর্ণ হয়ে গেল।
3. শিষ্যেরা দেখলেন আগুনের জিভের মত কি যেন ছড়িয়ে গেল এবং সেগুলো তাঁদের প্রত্যেকের উপর এসে বসল।
4. তাতে তাঁরা সবাই পবিত্র আত্মাতে পূর্ণ হলেন এবং সেই আত্মা যাকে যেমন কথা বলবার শক্তি দিলেন সেই অনুসারে তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে লাগলেন।
5. সেই সময় জগতের নানা দেশ থেকে ঈশ্বরভক্ত যিহূদী লোকেরা এসে যিরূশালেমে বাস করছিল।
6. তারা সেই শব্দ শুনল এবং অনেকেই সেখানে জড়ো হল। নিজের নিজের ভাষায় শিষ্যদের কথা বলতে শুনে সেই লোকেরা যেন বুদ্ধিহারা হয়ে গেল।
7. তারা খুব আশ্চর্য হয়ে বলল, “এই যে লোকেরা কথা বলছে, এরা কি সবাই গালীলের লোক নয়?
8. যদি তা-ই হয় তাহলে আমরা প্রত্যেকে কি করে নিজের নিজের মাতৃভাষা ওদের মুখে শুনছি?
9. পার্থীয়, মাদীয়, এলমীয় লোক এবং মেসোপতেমিয়ায় বাসকারী লোকেরা, যিহূদিয়া ও কাপ্পাদকিয়া, পন্ত ও এশিয়া প্রদেশ,
10. ফরুগিয়া ও পাম্ফুলিয়া, মিসর ও কুরীণীর কাছাকাছি লিবিয়ার কয়েকটা জায়গার লোকেরা, রোম শহর থেকে যে যিহূদীরা ও যিহূদী ধর্মে বিশ্বাসী অযিহূদীরা এসেছে তারা,
11. ক্রীট দ্বীপের লোকেরা ও আরবীয়েরা-আমরা সকলেই তো আমাদের নিজের নিজের ভাষায় ঈশ্বরের মহৎ কাজের কথা ওদের বলতে শুনছি।”
12. তাঁরা আশ্চর্য ও বুদ্ধিহারা হয়ে একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন, “এর মানে কি?”