22. পরে তিনি তীমথিয় ও ইরাস্ত নামে তাঁর দু’জন সাহায্যকারীকে ম্যাসিডোনিয়াতে পাঠিয়ে দিলেন, আর এদিকে তিনি আরও কিছু দিন এশিয়া প্রদেশে রইলেন।
23. সেই সময়ে যীশুর পথের বিষয় নিয়ে খুব গোলমাল শুরু হল।
24. দীমীত্রিয় নামে একজন স্বর্ণকার দেবী আর্তেমিসের মন্দিরের মত ছোট ছোট রূপার মন্দির তৈরী করত। এতে মিস্ত্রিদের খুব লাভ হত।
25. দীমীত্রিয় সেই মিস্ত্রিদের ও তাদের মত অন্যান্য কারিগরদের এক জায়গায় ডেকে বলল, “ভাইয়েরা, তোমরা তো জান যে, এই ব্যবসা দিয়ে আমাদের আয় বেশ ভালই হয়।
26. কিন্তু তোমরা দেখতে ও শুনতে পাচ্ছ যে, পৌল নামে ঐ লোকটা আমাদের এই ইফিষে এবং বলতে গেলে প্রায় সমস্ত এশিয়া প্রদেশের অনেক লোকদের বিশ্বাস জন্মিয়ে তাদের ভুল পথে নিয়ে গেছে। সে বলে যে, হাতে তৈরী দেব-দেবীরা কিছুই নয়।
27. এতে কেবল যে আমাদের ব্যবসার সুনাম যাবে তা নয়, কিন্তু মহান দেবী আর্তেমিসের মন্দিরও মিথ্যা হয়ে যাবে। আর এশিয়া প্রদেশের সব লোকেরা, এমন কি, জগতের সবাই যে দেবীর উপাসনা করে তিনি নিজেও মহান থাকবেন না।”
28. এই কথা শুনে সেই লোকেরা রেগে আগুন হয়ে গেল এবং চিৎকার করে বলতে লাগল, “ইফিষীয়দের আর্তেমিস দেবীই মহান।”
29. আর দেখতে না দেখতে সমস্ত শহরটা হট্টগোলে পূর্ণ হয়ে গেল। গাইয় ও আরিষ্টার্খ নামে ম্যাসিডোনিয়ার যে দু’জন লোক তখন পৌলের সংগে যাচ্ছিলেন লোকেরা তাদের ধরল এবং সবাই একসংগে সভা বসবার স্থানে ছুটে গেল।
30. পৌল ভিড়ের সামনে যেতে চাইলেন কিন্তু শিষ্যেরা তাঁকে যেতে দিল না।
31. সেই প্রদেশের কয়েকজন রাজকর্মচারী পৌলের বন্ধু ছিলেন। তাঁরাও পৌলকে খবর পাঠিয়ে বিশেষভাবে অনুরোধ করলেন যেন তিনি বিপদের ঝুঁকি নিয়ে সেই সভার স্থানে না যান।
32. এর মধ্যে সভাতে গোলমাল হতেই থাকল। কিছু লোক এক কথা বলে চিৎকার করছিল, আবার কিছু লোক অন্য কথা বলে চিৎকার করছিল। বেশীর ভাগ লোক জানতই না কেন তারা সেই সভাতে উপস্থিত হয়েছে।
33. যিহূদীরা আলেক্সান্দরকে সামনে ঠেলে দিলে পর কয়েকজন লোক তাকে বলে দিল কি বলতে হবে। তখন আলেক্সান্দর লোকদের সামনে নিজের পক্ষে কথা বলবার জন্য হাতের ইশারায় লোকদের চুপ করাতে চেষ্টা করল।
34. কিন্তু লোকেরা যখন জানতে পারল যে, আলেক্সান্দর যিহূদী তখন সবাই একসংগে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে এই বলে চিৎকার করল, “ইফিষীয়দের আর্তেমিস দেবীই মহান।”
35. শেষে শহরের একজন বিশেষ সরকারী কর্মচারী লোকদের চুপ করিয়ে বললেন, “ইফিষীয় লোকেরা, এই কথা সবাই জানে যে, মহান আর্তেমিস দেবীর মন্দিরের এবং আকাশ থেকে তাঁর যে মূর্তি পড়েছে তার রক্ষাকারী হল ইফিষ শহর।