4. যখন পৌল ও বার্ণবা যিরূশালেমে আসলেন তখন মণ্ডলীর লোকেরা, নেতারা এবং প্রেরিতেরা আগ্রহের সংগে তাঁদের গ্রহণ করলেন। তাঁদের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর যা করেছিলেন তা সবই তাঁরা সবাইকে বললেন।
5. ফরীশী দলের কয়েকজন লোক বিশ্বাসী হয়েছিলেন। সেই বিশ্বাসীরা উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “অযিহূদীদের সুন্নত করানো দরকার এবং তারা যেন মোশির আইন-কানুন পালন করে সেইজন্য তাদের আদেশ দেওয়া দরকার।”
6. তখন প্রেরিতেরা ও মণ্ডলীর নেতারা এই বিষয় চিন্তা করবার জন্য এক জায়গায় মিলিত হলেন।
7. অনেক আলোচনার পর পিতর উঠে তাঁদের বললেন, “ভাইয়েরা, আপনারা তো জানেন যে, অনেক দিন আগে আপনাদের মধ্য থেকে ঈশ্বর আমাকে বেছে নিয়েছিলেন যাতে অযিহূদীরা আমার মুখ থেকে সুখবরের কথা শুনে বিশ্বাস করে।
8. ঈশ্বর সকলের অন্তর জানেন। তিনি আমাদের যেমন পবিত্র আত্মা দান করেছিলেন, অযিহূদীদেরও সেইভাবে পবিত্র আত্মা দান করে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, তারাও পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছে।
9. তিনি আমাদের ও তাদের মধ্যে আলাদা বলে কিছুই রাখেন নি, কারণ তারা বিশ্বাস করেছে বলে তিনি তাদেরও অন্তর পরিষ্কার করেছেন।
33-34. আন্তিয়খিয়াতে তাঁরা কিছু দিন কাটালেন। যিরূশালেমের যাঁরা যিহূদা ও সীলকে আন্তিয়খিয়াতে পাঠিয়েছিলেন, আন্তিয়খিয়ার ভাইয়েরা তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়ে যিহূদা আর সীলকে আবার তাঁদের কাছে ফেরৎ পাঠিয়ে দিল,
35. কিন্তু পৌল আর বার্ণবা আন্তিয়খিয়াতেই রইলেন। সেখানে তাঁরা আরও অনেকের সংগে প্রভুর বাক্য শিক্ষা দিতে ও প্রচার করতে থাকলেন।
36. কিছু দিন পরে পৌল বার্ণবাকে বললেন, “যে সব জায়গায় আমরা প্রভুর বাক্য প্রচার করেছি, চল, এখনই সেই সব জায়গায় ফিরে গিয়ে বিশ্বাসী ভাইদের সংগে দেখা করি এবং তারা কেমন ভাবে চলছে তা দেখি।”
37. তখন বার্ণবা যোহনকে সংগে নিতে চাইলেন। এই যোহনকে মার্ক বলেও ডাকা হত।
38. পৌল কিন্তু তাঁকে সংগে নেওয়া ভাল মনে করলেন না, কারণ মার্ক পাম্ফুলিয়াতে তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের সংগে আর কাজ করেন নি।
39. তখন পৌল ও বার্ণবার মধ্যে এমন মতের অমিল হল যে, তাঁরা একে অন্যের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেলেন। বার্ণবা মার্ককে নিয়ে জাহাজে করে সাইপ্রাস দ্বীপে গেলেন, আর পৌল সীলকে বেছে নিলেন।
40. তখন আন্তিয়খিয়ার ভাইয়েরা পৌল ও সীলকে প্রভুর দয়ার হাতে তুলে দিলে পর তাঁরা রওনা হলেন।
41. পৌল সিরিয়া ও কিলিকিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়ে সমস্ত মণ্ডলীগুলোর বিশ্বাস বাড়িয়ে তাদের আরও শক্তিশালী করে তুললেন।