29. সেই দরকারী বিষয়গুলো হল-আপনারা প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা খাবার খাবেন না, রক্ত খাবেন না, গলা টিপে মারা পশুর মাংস খাবেন না এবং কোন রকম ব্যভিচার করবেন না। এই সব করা থেকে দূরে থাকলে আপনারা ভাল করবেন। বিদায়।”
30. পৌল, বার্ণবা ও সেই লোকদের পাঠানো হলে পর তাঁরা আন্তিয়খিয়াতে গেলেন। সেখানে তাঁরা মণ্ডলীর লোকদের একত্র করে সেই চিঠিখানা তাদের দিলেন।
31. লোকেরা চিঠিটা পড়ল এবং তার মধ্যে যে সান্ত্বনার কথা ছিল তাতে খুশী হল।
32. যিহূদা আর সীল নিজেরাও ছিলেন নবী; সেইজন্য তাঁরা অনেক কথা বলে সেখানকার ভাইদের উৎসাহ দিলেন এবং তাদের বিশ্বাস বাড়িয়ে তাদের শক্তিশালী করে তুললেন।
33-34. আন্তিয়খিয়াতে তাঁরা কিছু দিন কাটালেন। যিরূশালেমের যাঁরা যিহূদা ও সীলকে আন্তিয়খিয়াতে পাঠিয়েছিলেন, আন্তিয়খিয়ার ভাইয়েরা তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়ে যিহূদা আর সীলকে আবার তাঁদের কাছে ফেরৎ পাঠিয়ে দিল,
35. কিন্তু পৌল আর বার্ণবা আন্তিয়খিয়াতেই রইলেন। সেখানে তাঁরা আরও অনেকের সংগে প্রভুর বাক্য শিক্ষা দিতে ও প্রচার করতে থাকলেন।
36. কিছু দিন পরে পৌল বার্ণবাকে বললেন, “যে সব জায়গায় আমরা প্রভুর বাক্য প্রচার করেছি, চল, এখনই সেই সব জায়গায় ফিরে গিয়ে বিশ্বাসী ভাইদের সংগে দেখা করি এবং তারা কেমন ভাবে চলছে তা দেখি।”
37. তখন বার্ণবা যোহনকে সংগে নিতে চাইলেন। এই যোহনকে মার্ক বলেও ডাকা হত।
38. পৌল কিন্তু তাঁকে সংগে নেওয়া ভাল মনে করলেন না, কারণ মার্ক পাম্ফুলিয়াতে তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের সংগে আর কাজ করেন নি।
39. তখন পৌল ও বার্ণবার মধ্যে এমন মতের অমিল হল যে, তাঁরা একে অন্যের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেলেন। বার্ণবা মার্ককে নিয়ে জাহাজে করে সাইপ্রাস দ্বীপে গেলেন, আর পৌল সীলকে বেছে নিলেন।
40. তখন আন্তিয়খিয়ার ভাইয়েরা পৌল ও সীলকে প্রভুর দয়ার হাতে তুলে দিলে পর তাঁরা রওনা হলেন।
41. পৌল সিরিয়া ও কিলিকিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়ে সমস্ত মণ্ডলীগুলোর বিশ্বাস বাড়িয়ে তাদের আরও শক্তিশালী করে তুললেন।