3. পৌল ও বার্ণবা সেই শহরে বেশ কিছুদিন রইলেন এবং সাহসের সংগে প্রভুর কথা বলতে থাকলেন। প্রভুর দয়া সম্বন্ধে তাঁরা যা প্রচার করছিলেন সেই কথা যে বিশ্বাসযোগ্য প্রভু তা প্রমাণ করবার জন্য পৌল ও বার্ণবাকে আশ্চর্য আশ্চর্য কাজ করবার শক্তি দিলেন।
4. এতে শহরের লোকেরা ভাগ হয়ে গেল; কেউ কেউ যিহূদীদের পক্ষে, আবার কেউ কেউ প্রেরিত্দের পক্ষে গেল।
5. তখন অযিহূদী ও যিহূদী এই দু’দলই তাদের নেতাদের সংগে মিলে পৌল ও বার্ণবাকে অত্যাচার করবার ও পাথর মারবার জন্য ষড়যন্ত্র করল।
6. কিন্তু পৌল ও বার্ণবা তা টের পেয়ে লুকায়নিয়া প্রদেশের মধ্যে লুস্ত্রা ও দর্বী শহরে এবং তার আশেপাশের জায়গায় পালিয়ে বেড়াতে লাগলেন।
7. সেই সব জায়গায় তাঁরা খ্রীষ্টের বিষয়ে সুখবর প্রচার করতে লাগলেন।
8. লুস্ত্রা শহরে একজন খোঁড়া লোক বসে থাকত। সে জন্ম থেকেই খোঁড়া ছিল এবং কখনও হাঁটে নি।
21-22. দর্বী শহরে সুখবর প্রচার করে পৌল ও বার্ণবা অনেককে শিষ্য করলেন। তার পরে তাঁরা লুস্ত্রা, ইকনিয় ও পিষিদিয়া প্রদেশের আন্তিয়খিয়াতে ফিরে গিয়ে সেখানকার শিষ্যদের বিশ্বাস বাড়িয়ে তাদের শক্তিশালী করলেন এবং বিশ্বাসে স্থির থাকতে উৎসাহ দিলেন। তাঁরা বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্যে ঢুকবার আগে আমাদের অনেক অত্যাচার সহ্য করা দরকার।”
23. তাঁরা প্রত্যেক মণ্ডলীতে প্রধান নেতাদের কাজে বহাল করলেন এবং যে প্রভুর উপর তারা বিশ্বাস করেছিল, প্রার্থনা ও উপবাস করে সেই প্রভুর হাতেই মণ্ডলীর লোকদের তুলে দিলেন।
24. পরে পৌল ও বার্ণবা পিষিদিয়া প্রদেশের মধ্য দিয়ে পাম্ফুলিয়া প্রদেশে পৌঁছালেন।
25. তাঁরা পর্গা শহরে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করে অত্তালিয়া বন্দরে গেলেন।
26. পরে অত্তালিয়া থেকে জাহাজে করে সিরিয়া দেশের আন্তিয়খিয়াতে ফিরে আসলেন। যে কাজ তাঁরা এখন শেষ করলেন সেই কাজের জন্য এই আন্তিয়খিয়াতেই ঈশ্বরের দয়ার হাতে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়েছিল।
27. আন্তিয়খিয়াতে পৌঁছে মণ্ডলীর সবাইকে তাঁরা এক জায়গায় জড়ো করলেন এবং ঈশ্বর তাঁদের মধ্য দিয়ে যা করেছেন তা সবই বললেন। ঈশ্বর কিভাবে অযিহূদীদের সুযোগ করে দিয়েছিলেন যাতে তারা খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করতে পারে তাও বললেন।
28. তার পরে পৌল ও বার্ণবা শিষ্যদের সংগে সেখানে অনেক দিন রইলেন।