2. তাঁরা যখন উপবাস করে প্রভুর উপাসনা করছিলেন তখন পবিত্র আত্মা তাঁদের বললেন, “বার্ণবা আর শৌলকে আমি যে কাজের জন্য ডেকেছি আমার সেই কাজের জন্য এখন তাদের আলাদা কর।”
3. তখন তাঁরা উপবাস ও প্রার্থনা করে সেই দু’জনের উপর হাত রাখলেন এবং তাঁদের পাঠিয়ে দিলেন।
4. পবিত্র আত্মা এইভাবে বার্ণবা ও শৌলকে পাঠালে পর সেই দু’জন সিলূকিয়াতে গেলেন। পরে সেখান থেকে তাঁরা জাহাজে করে সাইপ্রাস দ্বীপে গেলেন।
5. সালামীতে পৌঁছে তাঁরা যিহূদীদের সমাজ-ঘরে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করলেন। তখন সাহায্যকারী হিসাবে যোহন তাঁদের সংগে ছিলেন।
6. সমস্ত দ্বীপটা ঘুরে শেষে তাঁরা পাফোতে আসলেন এবং সেখানে বর-যীশু নামে একজন যিহূদী যাদুকর ও ভণ্ড নবীর দেখা পেলেন।
9. তখন পবিত্র আত্মাতে পূর্ণ হয়ে শৌল, যাঁকে পৌল বলেও ডাকা হত, ইলুমার দিকে সোজা তাকিয়ে বললেন,
17-18. ইস্রায়েল জাতির ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের বেছে নিয়েছিলেন এবং যখন তাঁরা মিসর দেশে ছিলেন তখন তাঁদের অনেক মহান করেছিলেন। পরে ঈশ্বর মহা শক্তিতে সেই দেশ থেকে তাঁদের বের করে এনেছিলেন এবং প্রায় চল্লিশ বছর ধরে মরু-এলাকার মধ্যে তাঁদের অন্যায় ব্যবহার সহ্য করেছিলেন।
19. তার পরে তিনি কনান দেশের সাতটা জাতিকে ধ্বংস করে তাঁর নিজের লোকদের সেই দেশের উপরে অধিকার দিয়েছিলেন।
20. এই সমস্ত ঘটনা ঘটতে প্রায় চারশো পঞ্চাশ বছর লেগেছিল।“এর পরে নবী শমূয়েলের সময় পর্যন্ত ঈশ্বর কয়েকজন শাসনকর্তা দিয়েছিলেন।
21. তার পরে লোকেরা রাজা চাইল। তখন তিনি তাদের বিন্যামীন বংশের কীশের পুত্র শৌলকে দিয়েছিলেন। শৌল চল্লিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন।
22. তারপর ঈশ্বর শৌলকে সরিয়ে দিয়ে দায়ূদকে রাজা করেছিলেন। তিনি দায়ূদের বিষয়ে বলেছিলেন, ‘আমি যিশয়ের পুত্র দায়ূদের মধ্যে আমার মনের মত লোকের খোঁজ পেয়েছি। আমি যা চাই সে তা-ই করবে।’
23. ঈশ্বর তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারে এই লোকের বংশধরদের মধ্য থেকে উদ্ধারকর্তা যীশুকে ইস্রায়েলীয়দের কাছে উপস্থিত করেছিলেন।
24. যীশু আসবার আগে সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের কাছে যোহন এই কথা প্রচার করেছিলেন যে, পাপ থেকে মন ফিরিয়ে লোকদের বাপ্তিস্ম গ্রহণ করা উচিত।
25. কাজ শেষ করবার সময়ে যোহন বলেছিলেন, ‘আমি কে, তোমরা কি মনে কর? আমি সেই মশীহ নই। তিনি আমার পরে আসবেন, আর আমি তাঁর জুতা খুলবারও যোগ্য নই।’
26. “ভাইয়েরা, অব্রাহামের বংশধরেরা ও ঈশ্বরভক্ত অযিহূদীরা, পাপ থেকে উদ্ধারের এই যে খবর তা আমাদের কাছেই পাঠানো হয়েছে।
27. যিরূশালেমের লোকেরা ও তাদের নেতারা যীশুকে চেনে নি। এছাড়া নবীদের যে কথা প্রত্যেক বিশ্রামবারে পড়া হয় সেই কথা তারা বুঝতে পারে নি; সেইজন্য তারা যীশুকে দোষী করে সেই কথা পূর্ণ করেছে।
28. যদিও যীশুকে মৃত্যুর শাস্তি দেবার কোন কারণ তারা পায় নি তবুও পীলাতকে বলেছে যেন তাঁকে মেরে ফেলা হয়।
29. তাঁর বিষয়ে পবিত্র শাস্ত্রে যা কিছু লেখা ছিল তার সমস্তই পূর্ণ করবার পরে তারা তাঁকে ক্রুশ থেকে নামিয়ে কবর দিয়েছিল।
30. কিন্তু ঈশ্বর মৃত্যু থেকে তাঁকে জীবিত করে তুলেছেন।
31. গালীল থেকে যাঁরা তাঁর সংগে যিরূশালেমে এসেছিলেন তাঁরা অনেক দিন পর্যন্ত তাঁকে দেখতে পেয়েছিলেন। আমাদের লোকদের কাছে তাঁরাই এখন তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
32. “আমরা আপনাদের কাছে এই সুখবর দিচ্ছি যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে ঈশ্বর যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন,
33. তা তিনি তাঁদের বংশধরদের জন্য, অর্থাৎ আমাদের জন্য যীশুকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে পূর্ণ করেছেন। এই বিষয়ে গীতসংহিতার দ্বিতীয় গীতে এই কথা লেখা আছে:তুমি আমার পুত্র,আজই আমি তোমার পিতা হলাম।