12. এই কথা বুঝতে পেরে তিনি যোহনের মা মরিয়মের বাড়ীতে গেলেন। এই যোহনকে মার্ক বলেও ডাকা হত। সেই বাড়ীতে অনেকে একসংগে মিলিত হয়ে প্রার্থনা করছিল।
13. পিতর বাইরের দরজায় ঘা দিলে পর রোদা নামে একজন চাকরাণী মেয়ে দরজা খুলতে আসল।
14. পিতরের গলার স্বর চিনতে পেরে সে এত আনন্দিত হল যে, দরজা না খুলেই দৌড়ে ভিতরের ঘরে গিয়ে সংবাদ দিল, “পিতর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন।”
15. তখন শিষ্যেরা সেই মেয়েটিকে বলল, “তোমার মাথা খারাপ হয়েছে।” কিন্তু সে বার বার জোর দিয়ে বলাতে তারা বলল, “তবে এ পিতরের রক্ষাকারী-দূত।”
16. এদিকে পিতর দরজায় ঘা দিতেই থাকলেন। তখন শিষ্যেরা দরজা খুলে পিতরকে দেখে অবাক হয়ে গেল।
17. পিতর তাদের চুপ করাবার জন্য হাত দিয়ে ইশারা করলেন এবং জেলখানা থেকে প্রভু তাঁকে কিভাবে বের করে এনেছেন তা জানালেন। শেষে তিনি বললেন, “এই খবর যাকোব ও অন্য ভাইদেরও দিয়ো।” এই কথা বলে তিনি বের হয়ে অন্য জায়গায় চলে গেলেন।
18. সকাল হলে পর পিতর কোথায় গেল তা নিয়ে সৈন্যদের মধ্যে হুলস্থূল পড়ে গেল।
19. হেরোদ খুব ভাল করেই তাঁর খোঁজ করলেন, কিন্তু তাঁকে না পেয়ে পাহারাদারদের জেরা করলেন এবং পরে সেই পাহারাদারদের মেরে ফেলবার হুকুম দিলেন। এর পরে হেরোদ যিহূদিয়া থেকে কৈসরিয়াতে গেলেন ও সেখানে কিছু দিন থাকলেন।