18. এই কথা শুনে যিহূদিয়ার বিশ্বাসীরা আর আপত্তি না করে ঈশ্বরের গৌরব করে বলল, “তাহলে ঈশ্বর অযিহূদীদেরও জীবন পাবার জন্য পাপ থেকে মন ফিরাতে সুযোগ দিলেন।”
19. স্তিফানকে কেন্দ্র করে বিশ্বাসীদের উপর অত্যাচারের দরুন যারা ছড়িয়ে পড়েছিল তারা ফৈনীকিয়া, সাইপ্রাস ও সিরিয়া দেশের আন্তিয়খিয়া পর্যন্ত গিয়ে কেবল যিহূদীদের কাছেই ঈশ্বরের বাক্য বলল।
20. কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন আন্তিয়খিয়াতে গিয়ে গ্রীক ভাষায় কথা বলা লোকদের কাছেও প্রভু যীশুর বিষয়ে সুখবর প্রচার করতে লাগল। এরা ছিল সাইপ্রাস দ্বীপ ও কুরীণী শহরের লোক।
21. ঈশ্বরের শক্তি তাদের উপর ছিল বলে অনেক লোক প্রভুর উপর বিশ্বাস করে তাঁর দিকে ফিরল।
22. এই খবর যিরূশালেমের মণ্ডলীর লোকদের কানে গেলে পর তারা বার্ণবাকে আন্তিয়খিয়াতে পাঠিয়ে দিল।
23. ঈশ্বর যে কিভাবে আন্তিয়খিয়ার লোকদের দয়া করেছেন বার্ণবা এসে তা দেখে খুব আনন্দিত হলেন। তারা যেন সমস্ত অন্তর দিয়ে প্রভুর কাছে বিশ্বস্ত থাকে সেইজন্য তিনি তাদের সকলকে উৎসাহ দিতে লাগলেন।
24. বার্ণবা একজন ভাল লোক ছিলেন এবং তিনি পবিত্র আত্মাতে ও বিশ্বাসে পূর্ণ ছিলেন। তখন প্রভু অনেককেই তাঁর নিজের কাছে নিয়ে এসেছিলেন।
25. এর পরে বার্ণবা শৌলের খোঁজে তার্ষ শহরে গেলেন,
26. আর তাঁকে খুঁজে পেয়ে আন্তিয়খিয়াতে আনলেন। বার্ণবা আর শৌল এক বছর পর্যন্ত মণ্ডলীর লোকদের সংগে মিলিত হয়ে অনেক লোককে শিক্ষা দিলেন। আন্তিয়খিয়াতেই খ্রীষ্টের শিষ্যদের খ্রীষ্টিয়ান নামে প্রথম ডাকা হল।
27. এর মধ্যে কয়েকজন নবী যিরূশালেম থেকে আন্তিয়খিয়াতে আসলেন।
28. তাঁদের মধ্যে আগাব নামে একজন উঠে দাঁড়িয়ে পবিত্র আত্মার পরিচালনায় বললেন যে, সারা রোম সাম্রাজ্যে এক ভীষণ দুর্ভিক্ষ হবে। (সম্রাট ক্লৌদিয়ের রাজত্বের সময়ে সেই কথা পূর্ণ হয়েছিল।)
29. তখন শিষ্যেরা ঠিক করল, যিহূদিয়া প্রদেশের বিশ্বাসী ভাইদের সাহায্যের জন্য তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের সাধ্য অনুসারে টাকা পাঠাবে। তারা তা করেছিল।
30. তারা বার্ণবা ও শৌলের হাতে যিহূদিয়ার মণ্ডলীগুলোর বৃদ্ধ নেতাদের কাছে সেই সাহায্য পাঠিয়ে দিয়েছিল।