30. তখন কর্ণীলিয় বললেন, “চার দিন আগে ঠিক এই সময়ে বেলা তিনটায় আমি আমার ঘরে প্রার্থনা করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ উজ্জ্বল কাপড় পরা একজন লোক আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললেন,
31. ‘কর্ণীলিয়, ঈশ্বর তোমার প্রার্থনা শুনেছেন এবং গরীবদের তোমার দানের কথা তিনি মনে রেখেছেন।
32. এখন তুমি যাফোতে লোক পাঠাও, আর শিমোন, যাকে পিতরও বলা হয়, তাকে ডেকে আন। সমুদ্রের ধারে যে শিমোন থাকে এবং চামড়ার কাজ করে পিতর তারই বাড়ীতে অতিথি হয়ে আছে।’
33. সেইজন্য আমি তখনই আপনাকে ডেকে আনবার জন্য লোক পাঠিয়ে দিলাম, আর আপনি এসে ভালই করেছেন। এখানে আমরা সবাই এখন ঈশ্বরের সামনে আছি। প্রভু আপনাকে আমাদের কাছে যা বলতে আদেশ দিয়েছেন আমরা তা সবই শুনব।”
34. তখন পিতর বলতে আরম্ভ করলেন, “আমি এখন সত্যিই বুঝতে পারলাম ঈশ্বরের চোখে সবাই সমান।
35. প্রত্যেক জাতির মধ্য থেকে যারা তাঁকে ভক্তি করে এবং তাঁর চোখে যা ঠিক তা-ই করে তিনি তাদের গ্রহণ করেন।
36. ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের কাছে এই সুখবর পাঠিয়েছিলেন যে, যীশু খ্রীষ্ট, যিনি সকলের প্রভু, তাঁরই মধ্য দিয়ে শান্তি পাওয়া যায়।
37. লোকদের যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করা উচিত যোহন সেই কথা প্রচার করবার পরে গালীল থেকে আরম্ভ করে সমস্ত যিহূদিয়াতে যা ঘটেছিল তা আপনারা নিজেরাই জানেন।
38. আপনারা এও জানেন যে, ঈশ্বর নাসরতের যীশুকে পবিত্র আত্মা ও শক্তি দিয়ে অভিষেক করেছিলেন। ঈশ্বর তাঁর সংগে ছিলেন বলে তিনি ভাল কাজ করে বেড়াতেন এবং শয়তানের হাতে যারা কষ্ট পেত তাদের সবাইকে সুস্থ করতেন।
39. “যিহূদীদের দেশে এবং যিরূশালেমে তিনি যা কিছু করেছিলেন আমরা তার সাক্ষী। লোকেরা তাঁকে ক্রুশে টাংগিয়ে মেরে ফেলেছিল।
40. কিন্তু ঈশ্বর তৃতীয় দিনে তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুললেন এবং এমন করলেন যাতে লোকেরা তাঁকে দেখতে পায়।
41. তবে সকলে তাঁকে দেখতে পায় নি, কিন্তু ঈশ্বর যে সাক্ষীদের আগেই বেছে রেখেছিলেন তারাই তাঁকে দেখতে পেয়েছিল, অর্থাৎ তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবার পরে আমরা যারা তাঁর সংগে খাওয়া-দাওয়া করেছি আমরাই তাঁকে দেখতে পেয়েছি।