3. তাঁর দুঃখভোগের পরে এই লোকদের কাছে তিনি দেখা দিয়েছিলেন এবং তিনি যে জীবিত আছেন তার অনেক বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দিয়েছিলেন। চল্লিশ দিন পর্যন্ত তিনি শিষ্যদের দেখা দিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় বলেছিলেন।
4. সেই সময় একদিন যীশু যখন শিষ্যদের সংগে ছিলেন তখন তাঁদের এই আদেশ দিয়েছিলেন, “তোমরা যিরূশালেম ছেড়ে যেয়ো না, বরং আমার পিতার প্রতিজ্ঞা করা যে দানের কথা তোমরা আমার কাছে শুনেছ তার জন্য অপেক্ষা কর।
5. যোহন জলে বাপ্তিস্ম দিতেন, কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে পিতার সেই প্রতিজ্ঞা অনুসারে পবিত্র আত্মায় তোমাদের বাপ্তিস্ম হবে।”
6. পরে শিষ্যেরা একসংগে মিলিত হয়ে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “প্রভু, এই সময় কি আপনি ইস্রায়েলীয়দের হাতে রাজ্য ফিরিয়ে দেবেন?”
7. যীশু তাঁদের বললেন, “যে দিন বা সময় পিতা নিজের অধিকারের মধ্যে রেখেছেন তা তোমাদের জানতে দেওয়া হয় নি।
8. তবে পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসলে পর তোমরা শক্তি পাবে, আর যিরূশালেম, সারা যিহূদিয়া ও শমরিয়া প্রদেশে এবং পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত তোমরা আমার সাক্ষী হবে।”
9. এই কথা বলবার পরে শিষ্যদের চোখের সামনেই যীশুকে তুলে নেওয়া হল এবং তিনি একটা মেঘের আড়ালে চলে গেলেন।
21-22. “এইজন্য যীশু যে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন তার সাক্ষী হিসাবে অন্য আর একজনকে আমাদের, অর্থাৎ প্রেরিত্দের দলে নিতে হবে। যোহন যে সময় বাপ্তিস্ম দিতেন তখন থেকে আরম্ভ করে যীশুকে আমাদের কাছ থেকে তুলে না নেওয়া পর্যন্ত, প্রভু যীশু যতদিন আমাদের সংগে চলাফেরা করেছিলেন ততদিন যে লোকেরা আমাদের দলে ছিল, সেই লোক যেন তাদের মধ্যে একজন হয়।”
23. তখন শিষ্যেরা যোষেফ, যাঁকে বর্শাব্বা ও যুষ্ট বলা হত, তাঁর এবং মত্তথিয়ের, এই দু’জনের নাম বললেন।
24-25. তারপর তাঁরা এই বলে প্রার্থনা করলেন, “প্রভু, তুমি সকলের অন্তরই জান। যিহূদা তার পাওনা শাস্তি পাবার জন্য প্রেরিত্ পদের কাজ ছেড়ে দিয়েছে। এখন এই দু’জনের মধ্যে সেই পদের জন্য যাঁকে তুমি বেছে নিয়েছ তাঁকে আমাদের দেখিয়ে দাও।”
26. তাঁরা গুলিবাঁট করলে পর মত্তথিয়ের নাম উঠল। এইজন্য মত্তথিয় সেই এগারোজন প্রেরিত্দের সংগে যোগ দিলেন।