4. তাদের বলা হল যেন তারা পৃথিবীর কোন ঘাস বা সবুজ কোন কিছু অথবা কোন গাছের ক্ষতি না করে; কেবল যে লোকদের কপালে ঈশ্বরের সীলমোহর নেই তাদেরই ক্ষতি করে।
5. এই সব লোকদের মেরে ফেলবার কোন ক্ষমতা তাদের দেওয়া হল না বটে, তবে পাঁচ মাস পর্যন্ত যন্ত্রণা দেবার ক্ষমতা তাদের দেওয়া হল। কাঁকড়া বিছা যখন কোন মানুষকে হুল ফুটায় তখন যেমন যন্ত্রণা হয় এই পংগপালদের দেওয়া যন্ত্রণা ঠিক সেই রকমই।
6. সেই সময় লোকে মৃত্যুর খোঁজ করবে কিন্তু কোনমতেই তা পাবে না; তারা মরতে চাইবে কিন্তু মৃত্যু তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
7. সেই পংগপালগুলো দেখতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা ঘোড়ার মত। তাদের মাথায় সোনার মুকুটের মত এক রকম জিনিস ছিল, আর তাদের মুখের চেহারা ছিল মানুষের মত।
8. তাদের চুল মেয়েদের চুলের মত আর তাদের দাঁত সিংহের দাঁতের মত।
9. তাদের বুকে লোহার বুক রক্ষার পোশাকের মত পোশাক ছিল। অনেকগুলো ঘোড়া একসংগে যুদ্ধের রথ টেনে নিয়ে ছুটে গেলে যেমন শব্দ হয়, তাদের ডানার শব্দ ঠিক সেই রকমই ছিল।
10. তাদের লেজ ও হুল কাঁকড়া বিছার লেজ ও হুলের মত ছিল। পাঁচ মাস পর্যন্ত লোকদের ক্ষতি করবার শক্তি তাদের লেজে ছিল।
11. অতল গর্তের দূতই ছিল এই পংগপালদের রাজা। ইব্রীয় ভাষায় সেই দূতের নাম ছিল আবদ্দোন আর গ্রীক ভাষায় আপল্লুয়োন, অর্থাৎ ধ্বংসকারী।
12. প্রথম বিপদ শেষ হল। দেখ, এর পরে আরও দু’টা বিপদ আসছে।
13. তারপর ষষ্ঠ স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন। ঈশ্বরের সামনে যে সোনার বেদী আছে সেই বেদীর চারটা শিংয়ের কাছ থেকে আমি একজনকে কথা বলতে শুনলাম। যাঁর কাছে তূরী ছিল সেই ষষ্ঠ স্বর্গদূতকে তিনি বললেন,
14. “যে চারজন দূত মহানদী ইউফ্রেটিসের মধ্যে বাঁধা রয়েছে তাদের ছেড়ে দাও।”
15. তখন সেই চারজন দূতকে ছেড়ে দেওয়া হল। এই বছরের এই মাস, এই দিন ও এই ঘণ্টার জন্য সেই দূতদের প্রস্তুত রাখা হয়েছিল যেন তারা তিন ভাগের এক ভাগ মানুষকে মেরে ফেলে।
16. পরে আমি শুনতে পেলাম, ঘোড়ায় চড়া সৈন্যের সংখ্যা ছিল বিশ কোটি।
17. দর্শনে যে ঘোড়াগুলো এবং সেগুলোর উপর যাদের আমি দেখলাম তাদের চেহারা এই রকম ছিল-তাদের বুক রক্ষার পোশাক ছিল আগুনের মত লাল, নীল ও গন্ধকের মত হলুদ রংয়ের। ঘোড়াগুলোর মাথা ছিল সিংহের মাথার মত আর সেগুলোর মুখ থেকে আগুন, ধূমা আর গন্ধক বের হচ্ছিল।