10. তাদের লেজ ও হুল কাঁকড়া বিছার লেজ ও হুলের মত ছিল। পাঁচ মাস পর্যন্ত লোকদের ক্ষতি করবার শক্তি তাদের লেজে ছিল।
11. অতল গর্তের দূতই ছিল এই পংগপালদের রাজা। ইব্রীয় ভাষায় সেই দূতের নাম ছিল আবদ্দোন আর গ্রীক ভাষায় আপল্লুয়োন, অর্থাৎ ধ্বংসকারী।
12. প্রথম বিপদ শেষ হল। দেখ, এর পরে আরও দু’টা বিপদ আসছে।
13. তারপর ষষ্ঠ স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন। ঈশ্বরের সামনে যে সোনার বেদী আছে সেই বেদীর চারটা শিংয়ের কাছ থেকে আমি একজনকে কথা বলতে শুনলাম। যাঁর কাছে তূরী ছিল সেই ষষ্ঠ স্বর্গদূতকে তিনি বললেন,
14. “যে চারজন দূত মহানদী ইউফ্রেটিসের মধ্যে বাঁধা রয়েছে তাদের ছেড়ে দাও।”
15. তখন সেই চারজন দূতকে ছেড়ে দেওয়া হল। এই বছরের এই মাস, এই দিন ও এই ঘণ্টার জন্য সেই দূতদের প্রস্তুত রাখা হয়েছিল যেন তারা তিন ভাগের এক ভাগ মানুষকে মেরে ফেলে।
16. পরে আমি শুনতে পেলাম, ঘোড়ায় চড়া সৈন্যের সংখ্যা ছিল বিশ কোটি।
17. দর্শনে যে ঘোড়াগুলো এবং সেগুলোর উপর যাদের আমি দেখলাম তাদের চেহারা এই রকম ছিল-তাদের বুক রক্ষার পোশাক ছিল আগুনের মত লাল, নীল ও গন্ধকের মত হলুদ রংয়ের। ঘোড়াগুলোর মাথা ছিল সিংহের মাথার মত আর সেগুলোর মুখ থেকে আগুন, ধূমা আর গন্ধক বের হচ্ছিল।
18. আগুন, ধূমা ও গন্ধক-এই তিনটি আঘাতের দ্বারা তিন ভাগের এক ভাগ মানুষকে মেরে ফেলা হল।
19. সেই ঘোড়াগুলোর মুখ ও লেজের মধ্যেই তাদের শক্তি ছিল, কারণ তাদের লেজগুলো ছিল সাপের মত। সেই লেজগুলোর মাথা দিয়ে তারা মানুষের ক্ষতি করছিল।
20. কিন্তু এই সব আঘাতের পরেও যে সব মানুষ বেঁচে রইল তারা নিজেদের হাতে তৈরী প্রতিমাগুলো থেকে মন ফিরাল না। তারা মন্দ আত্মাদের এবং যারা দেখতে, শুনতে বা হাঁটতে পারে না এমন সব সোনা, রূপা, পিতল, পাথর ও কাঠ দিয়ে তৈরী প্রতিমার পূজা করতেই থাকল।
21. এছাড়া খুন, যাদুবিদ্যা, ব্যভিচার ও চুরি-এই সমস্ত থেকেও তারা মন ফিরাল না।