3. জন্তুটার একটা মাথায় এমন একটা আঘাত ছিল যার ফলে সে মরবার মত হয়েছিল, কিন্তু সেই আঘাতটা ভাল হয়ে গিয়েছিল। তাতে জগতের সব লোক আশ্চর্য হয়ে সেই জন্তুটার পিছনে পিছনে চলল।
4. দানবটা সেই জন্তুটাকে ক্ষমতা দিয়েছিল বলে লোকেরা সেই দানবকে ঈশ্বরের সম্মান দিয়ে প্রণাম করল, আর জন্তুটাকেও সেই একইভাবে প্রণাম করে বলল, “এই জন্তুর মত কে আছে? আর কে-ই বা তার সংগে যুদ্ধ করতে পারে?”
5. গর্ব করবার ও ঈশ্বরকে অপমান করবার জন্য সেই জন্তুটাকে কথা বলবার শক্তি দেওয়া হল। সেই জন্তুটা যেন বিয়াল্লিশ মাস ধরে তার অধিকার খাটাতে পারে সেইজন্য তাকে অনুমতি দেওয়া হল।
6. তখন সেই জন্তুটা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে, তাঁর নামের ও তাঁর বাসস্থানের বিরুদ্ধে এবং স্বর্গে যাঁরা থাকেন তাঁদের বিরুদ্ধে খুব অপমানের কথা বলতে লাগল।
7. ঈশ্বরের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের জয় করে নেবার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হল এবং প্রত্যেক বংশ, দেশ, ভাষা ও জাতির লোকদের উপরে তাকে অধিকার দেওয়া হল।
8. যারা এই পৃথিবীর, অর্থাৎ যাদের নাম মেষ-শিশুর জীবন-বইয়ে লেখা নেই তারা সবাই সেই জন্তুটাকে ঈশ্বরের সম্মান দিয়ে প্রণাম করবে। এই মেষ-শিশুকে জগৎ সৃষ্টির আগেই মেরে ফেলবার জন্য ঠিক করা হয়েছিল।
9. যার শুনবার কান আছে, সে পবিত্র শাস্ত্রের এই কথাগুলো শুনুক:
10. যার বন্দী হবার কথা আছে সে বন্দী হবে।যার ছোরার আঘাতে খুন হবার কথা আছে সে খুন হবে।এইজন্য ঈশ্বরের লোকদের ধৈর্য ও বিশ্বাসের দরকার।
11. এর পরে আমি ভূমি থেকে আর একটা জন্তুকে উঠে আসতে দেখলাম। ভেড়ার মত তার দু’টা শিং ছিল, কিন্তু সেই দানবের মত সে কথা বলত।
12. এই জন্তুটা প্রথম জন্তুটার হয়ে তার সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে লাগল; আর যারা এই পৃথিবীর তাদের দিয়ে সে সেই প্রথম জন্তু, অর্থাৎ যার ভীষণ আঘাত ভাল হয়ে গিয়েছিল তাকে ঈশ্বর বলে প্রণাম করাল।
13. সে বড় বড় আশ্চর্য কাজ করতে লাগল, এমন কি, লোকদের চোখের সামনে আকাশ থেকে পৃথিবীতে আগুন নামিয়ে আনল।