12. পরে সেই দু’জন সাক্ষী স্বর্গ থেকে জোরে বলা এই কথা শুনলেন, “এখানে উঠে এস।” তখন তাঁরা তাঁদের শত্রুদের চোখের সামনেই একটা মেঘে করে স্বর্গে উঠে গেলেন।
13. সেই সময় ভীষণ ভূমিকম্প হল এবং সেই শহরের দশ ভাগের এক ভাগ ভেংগে পড়ে গেল। সেই ভূমিকমেপ সাত হাজার লোক মারা গেল। তাতে বাকী সকলে ভয় পেয়ে স্বর্গের ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল।
14. এইভাবে দ্বিতীয় বিপদ শেষ হল। দেখ, শীঘ্রই তৃতীয় বিপদ আসছে।
15. পরে সপ্তম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন। তখন স্বর্গে জোরে জোরে বলা হল, “জগতের রাজ্য এখন আমাদের প্রভু ও তাঁর মশীহের হয়েছে।
16. তিনি চিরকাল ধরে রাজত্ব করবেন।” যে চব্বিশজন নেতা ঈশ্বরের সামনে তাঁদের সিংহাসনের উপর বসে ছিলেন তাঁরা উবুড় হয়ে ঈশ্বরকে প্রণাম করে বললেন,
17. “সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর, তুমি আছ এবং তুমি ছিলে। আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দিই, কারণ তুমি তোমার মহা ক্ষমতা হাতে নিয়ে রাজত্ব করতে শুরু করেছ।
18. সব জাতি রাগ করেছে, আর তোমার ক্রোধ প্রকাশের সময় হয়েছে। মৃতদের বিচার করবার সময় এসেছে, আর তোমার দাসদের, অর্থাৎ নবীদের ও তোমার লোকদের এবং ছোট-বড় সবাই যারা তোমাকে ভক্তি করে তাদের পুরস্কার দেবার সময় এসেছে। এছাড়া যারা পৃথিবীর ক্ষতি করছে, তাদের ধ্বংস করবার সময়ও এসেছে।”
19. তারপর স্বর্গের উপাসনা-ঘরটি খোলা হল এবং সেখানে ঈশ্বরের ব্যবস্থা-সিন্দুকটি দেখা গেল। তখন বিদ্যুৎ চম্কাতে ও ভয়ংকর শব্দ হতে আর বাজ পড়তে এবং ভূমিকম্প ও ভীষণ শিলাবৃষ্টি হতে লাগল।