2. আমার ভাই হনানি ও দুর্গের সেনাপতি হনানিয়কে আমি যিরূশালেমের ভার দিলাম, কারণ হনানিয় সৎ লোক ছিলেন এবং ঈশ্বরকে অনেকের চেয়ে বেশী ভক্তিপূর্ণ ভয় করতেন।
3. আমি তাঁদের বললাম, “রোদ বেশী না হওয়া পর্যন্ত যিরূশালেমের ফটকগুলো যেন খোলা না হয়। রক্ষীদের চলে যাওয়ার আগে যেন দরজাগুলো বন্ধ করা ও হুড়কা দেওয়া হয়। যিরূশালেমের বাসিন্দাদের মধ্য থেকে যেন পাহারাদার নিযুক্ত করা হয়। তাদের কেউ কেউ থাকুক পাহারা দেবার জায়গায় আর কেউ কেউ থাকুক তাদের নিজের নিজের বাড়ীর কাছে।”
4. এই রকম ব্যবস্থা করা হল, কারণ যিরূশালেম শহরটা ছিল বড় এবং অনেক জায়গা জুড়ে, কিন্তু লোক ছিল খুব কম আর ঘর-বাড়ীও তখন তৈরী করা হয় নি।
5. পরে ঈশ্বর আমার মনে ইচ্ছা দিলেন যাতে আমি গণ্যমান্য লোকদের, নেতাদের ও সাধারণ লোকদের একত্র করে তাদের বংশ-তালিকা করতে পারি। যারা প্রথমে ফিরে এসেছিল সেই লোকদের বংশ-তালিকা পেলাম। সেখানে যা লেখা ছিল তা এই:
6. বাবিলের রাজা নবুখদ্নিৎসর যে সব ইস্রায়েলীয়দের বন্দী করে বাবিলে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই বন্দী অবস্থা থেকে যিরূশালেম ও যিহূদায় নিজের নিজের শহর ও গ্রামে ফিরে এসেছিল।
7. এই লোকেরা সরুব্বাবিল, যেশূয়, নহিমিয়, অসরিয়, রয়মিয়া, নহমানি, মর্দখয়, বিল্শন, মিসপরৎ, বিগ্বয়, নহূম ও বানার সংগে ফিরে এসেছিল।যে সমস্ত ইস্রায়েলীয় পুরুষ লোকেরা ফিরে এসেছিল তাদের সংখ্যা:
8. পরোশের বংশের লোকেরা দু’হাজার একশো বাহাত্তর জন;
9. শফটিয়ের তিনশো বাহাত্তর জন;
13-15. সত্তূর আটশো পঁয়তাল্লিশ জন; সক্কয়ের সাতশো ষাট জন; বিন্নুয়ির ছ’শো আটচল্লিশ জন;
16. বেবয়ের ছ’শো আটাশ জন;
17. আস্গদের দু’হাজার তিনশো বাইশ জন;
18. অদোনীকামের ছ’শো সাতষট্টি জন;
19. বিগ্বয়ের দু’হাজার সাতষট্টি জন;
20. আদীনের ছ’শো পঞ্চান্ন জন;
21. যিহিষ্কিয়ের বংশধর আটেরের বংশের আটানব্বইজন।
22. হশুমের তিনশো আটাশ জন;
23. বেৎসয়ের তিনশো চব্বিশ জন;
24. হারীফের একশো বারো জন;
25. গিবিয়োনের পঁচানব্বইজন।
26. বৈৎলেহম ও নটোফা গ্রামের লোক একশো অষ্টাশি জন;
27. অনাথোতের লোক একশো আটাশ জন;
28. বৈৎ-অস্মাবতের লোক বিয়াল্লিশ জন;