2. নপ্তালির সমস্ত জায়গা, ইফ্রয়িম ও মনঃশির জায়গা এবং পশ্চিম দিকে সমুদ্র পর্যন্ত যিহূদার সমস্ত জায়গাটা দেখালেন।
3. এছাড়া তিনি তাঁকে নেগেভ এবং খেজুর-শহর যিরীহো এবং তার কাছের যর্দন নদীর দক্ষিণ দিকের সমভূমি থেকে সোয়র পর্যন্ত সমস্ত এলাকাটা দেখালেন।
4. তারপর সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “এই সেই দেশ যা আমি অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের কাছে শপথ করে বলেছিলাম, ‘দেশটা আমি তোমার বংশধরদের দেব।’ দেশটা আমি তোমাকে নিজের চোখে দেখে নেবার সুযোগ দিলাম, কিন্তু নদী পার হয়ে তোমার সেখানে যাওয়া হবে না।”
5. সদাপ্রভু যা বলেছিলেন সেই অনুসারে সদাপ্রভুর দাস মোশি ঐ মোয়াব দেশেই মারা গেলেন।
6. মোয়াব দেশের বৈৎ-পিয়োরের কাছে যে উপত্যকা ছিল সেখানে সদাপ্রভুই তাঁকে কবর দিলেন, কিন্তু তাঁর কবরটা যে কোথায় তা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না।
7. মারা যাওয়ার সময়ে মোশির বয়স ছিল একশো বিশ বছর। তখনও তাঁর দেখবার শক্তি দুর্বল হয় নি কিম্বা তাঁর গায়ের জোরও কমে যায় নি।
8. ইস্রায়েলীয়েরা মোয়াবের সমভূমিতে ত্রিশ দিন পর্যন্ত মোশির জন্য কান্নাকাটি করেছিল। তারপর তাদের কান্নাকাটি ও শোক-প্রকাশের সময় শেষ হল।
9. নূনের ছেলে যিহোশূয়ের উপর মোশি হাত রেখেছিলেন বলে তিনি জ্ঞানদানকারী পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়েছিলেন। সেইজন্য ইস্রায়েলীয়েরা তাঁর কথামত চলতে লাগল এবং মোশির মধ্য দিয়ে সদাপ্রভু তাদের যে আদেশ দিয়েছিলেন তা পালন করতে লাগল।
10. আজ পর্যন্ত ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে মোশির মত আর কোন নবীর জন্ম হয় নি যাঁর কাছে সদাপ্রভু বন্ধুর মত সামনাসামনি কথা বলতেন।
11. সদাপ্রভু মোশিকে মিসর দেশে ফরৌণ ও তাঁর কর্মচারী এবং তাঁর গোটা দেশের উপর যে সব আশ্চর্য চিহ্ন ও কাজ করবার জন্য পাঠিয়েছিলেন সেই রকম কাজ আর কেউ করে নি।
12. সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের চোখের সামনে মোশি যে মহাশক্তি দেখিয়েছিলেন কিম্বা যে সব ভয় জাগানো কাজ করেছিলেন তা আর কেউ কখনও করে নি। ॥ভব