5. ধরে নাও, একজন লোক অন্য আর একজনের সংগে বনে কাঠ কাটতে গেল। সেখানে গাছ কাটতে গিয়ে কুড়াল দিয়ে কোপ দেবার সময়ে কুড়ালের ফলাটা ফস্কিয়ে গিয়ে অন্য লোকটিকে আঘাত করল এবং তাতে সে মারা গেল। এই অবস্থায় ঐ লোকটি তার কাছের আশ্রয়-শহরটিতে গিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারবে।
6. তা না হলে রক্তের শোধ যার নেবার কথা সে রাগের বশে তাকে তাড়া করতে পারে আর আশ্রয়-শহর কাছে না হলে তাকে মেরে ফেলতে পারে, যদিও মনে হিংসা নিয়ে মেরে ফেলে নি বলে মৃত্যু তার পাওনা শাস্তি নয়।
7. সেইজন্য আমি তোমাদের নিজেদের জন্য তিনটা শহর আলাদা করে রাখবার আদেশ দিচ্ছি।
10. তোমরা এটা করবে যাতে সম্পত্তি হিসাবে যে দেশটা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেই দেশের উপর নির্দোষ লোকের রক্তপাত না হয় এবং রক্তপাতের দোষে তোমরা দোষী না হও।
11. “কিন্তু যদি কেউ হিংসা করে কাউকে মেরে ফেলবার জন্য ওৎ পেতে বসে থাকে এবং তাকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে আর তার পরে তার কাছের আশ্রয়-শহরটিতে পালিয়ে যায়,
12. তবে তার শহরের বৃদ্ধ নেতারা লোক পাঠিয়ে সেই শহর থেকে তাকে ধরে আনবে এবং রক্তের শোধ যার নেবার কথা তার হাতে তাকে মেরে ফেলবার জন্য তুলে দেবে।
13. তাকে তোমরা কোন দয়া দেখাবে না। তোমরা ইস্রায়েলীয়দের মধ্য থেকে নির্দোষ লোকের রক্তপাতের দোষ মুছে ফেলবে। তাতে তোমাদের মংগল হবে।
14. “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশটা দখল করবার জন্য তোমাদের দিচ্ছেন সেখানে তোমাদের পূর্বপুরুষদের রাখা কোন সীমানা-চিহ্ন তোমরা সরাবে না।
15. “যদি কারও বিরুদ্ধে দোষ বা অন্যায় করবার নালিশ আনা হয়, তবে মাত্র একজন সাক্ষী দাঁড়ালে চলবে না; দুই বা তিনজন সাক্ষীর কথা ছাড়া কোন বিষয় সত্যি বলে প্রমাণিত হতে পারবে না।
16. “যদি কেউ ক্ষতি করবার মনোভাব নিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোন অন্যায় কাজের নালিশ আনে,
17. তবে সেই ব্যাপারে জড়িত সেই দু’জনকে তখনকার পুরোহিত ও বিচারকদের কাছে গিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়াতে হবে।
18. বিচারকেরা ব্যাপারটা ভাল করে তদন্ত করে দেখবে। যদি সে তার ইস্রায়েলীয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেবার দরুন মিথ্যাবাদী বলে ধরা পড়ে,
19. তবে সে তার ভাইয়ের প্রতি যা করতে চেয়েছিল তা-ই তার প্রতি করতে হবে। তোমাদের মধ্য থেকে এই রকমের মন্দতা শেষ করে দিতে হবে।