17. “এখন, হে আমাদের ঈশ্বর, তোমার দাসের প্রার্থনা ও মিনতি শোন। হে প্রভু, তোমার সুনাম রক্ষার জন্য ধ্বংস হয়ে যাওয়া তোমার ঘরের প্রতি তুমি দয়ার চোখে তাকাও।
18. হে আমার ঈশ্বর, তুমি কান দাও, শোন; তোমার চোখ খোল এবং যে শহর তোমার নামে পরিচিত তার ধ্বংস একবার দেখ। আমাদের নিজেদের গুণে নয় বরং তোমার মহা দয়ার জন্যই আমরা তোমার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
19. হে প্রভু, শোন। হে প্রভু, ক্ষমা কর। হে প্রভু, মনোযোগ দাও, কিছু কর। হে আমার ঈশ্বর, তোমার সুনাম রক্ষার জন্য আর দেরি কোরো না, কারণ তোমার শহর ও তোমার লোকেরা তোমার নামেই পরিচিত।”
20. এইভাবে আমি প্রার্থনা করছিলাম, আমার ও আমার জাতি ইস্রায়েলীয়দের পাপ স্বীকার করছিলাম এবং আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তাঁর পবিত্র পাহাড়ের জন্য অনুরোধ করছিলাম।
21. আমি তখনও প্রার্থনা করছিলাম এমন সময় আগের দর্শনে আমি যাঁকে দেখেছিলাম সেই গাব্রিয়েল দূত সন্ধ্যার উৎসর্গের সময়ে বেগে উড়ে আমার কাছে আসলেন।
22. তিনি আমাকে বুঝিয়ে বললেন, “দানিয়েল, আমি এখন তোমাকে বুঝবার ক্ষমতা ও বুদ্ধি দিতে এসেছি।
23. তুমি প্রার্থনা করতে শুরু করতেই ঈশ্বর তার উত্তর দিয়েছেন, আর তা আমি তোমাকে জানাতে এসেছি, কারণ তিনি তোমাকে খুবই ভালবাসেন। কাজেই এই সংবাদের বিষয় তুমি চিন্তা করে দেখ ও দর্শনটা বুঝে নাও।
24. “তোমার লোকদের ও তোমার পবিত্র শহরের জন্য সত্তর গুণ সাত বছর ঠিক করা হয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে মন্দতা বন্ধ করা হবে, অন্যায়ের শেষ হবে, পাপ ঢাকা দেওয়া হবে, চিরস্থায়ী ন্যায্যতা স্থাপন করা হবে, দর্শন ও ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ করা হবে এবং মহাপবিত্র স্থানকে অভিষেক করা হবে।
25. “তুমি জেনে ও বুঝে নাও যে, যিরূশালেমকে আবার মেরামত ও তৈরী করবার আদেশ বের হওয়া থেকে শুরু করে সেই মশীহের, অর্থাৎ শাসনকর্তার আসা পর্যন্ত সাত গুণ সাত বছর এবং বাষট্টি গুণ সাত বছর হবে। শহর-চক ও শহর রক্ষার ব্যবস্থা আবার নতুন করে তৈরী করা হবে এবং তা করা হবে কষ্টের সময়ে।
26. বাষট্টি গুণ সাত বছর পরে মশীহকে মেরে ফেলা হবে এবং তাঁর কিছুই থাকবে না। অন্য একজন শাসনকর্তা আসবে এবং তার লোকেরা এসে শহর ও উপাসনা-ঘরটা ধ্বংস করবে। শেষ সময় বন্যার মত আসবে, শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে এবং ধ্বংসের পর ধ্বংস ঠিক করে রাখা আছে।
27. সাত বছরের জন্য অনেকের সংগে সেই শাসনকর্তা সন্ধি করবে, কিন্তু সাত বছরের মাঝখানেই সে পশু ও শস্য উৎসর্গ করা বন্ধ করে দেবে। সেই ধ্বংসকারীর উপরে ঠিক করা শাস্তি সম্পূর্ণভাবে ঢেলে না দেওয়া পর্যন্ত উপাসনা-ঘরের মধ্যে সে সর্বনাশা ঘৃণার জিনিস রাখবে।”