20. তার মাথার দশটা শিং সম্বন্ধে এবং অন্য যে শিংটা উঠেছিল, যার সামনে তিনটা শিং পড়ে গিয়েছিল, যার চোখ ও বড়াই-করা মুখ ছিল এবং যেটা অন্যগুলোর চেয়ে বড় হয়ে উঠেছিল, সেই শিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলাম।
21. তারপর আমি দেখলাম সেই শিংটা ঈশ্বরের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাঁদের হারিয়ে দিচ্ছিল,
22. যে পর্যন্ত না সেই বৃদ্ধ এসে মহান ঈশ্বরের লোকদের পক্ষে রায় দিলেন। এর পর থেকে ঈশ্বরের লোকেরা রাজত্ব করতে লাগলেন।
23. “তারপর তিনি আমাকে এই রকম ব্যাখ্যা দিলেন, ‘চতুর্থ জন্তুটা হল পৃথিবীর চতুর্থ রাজ্য। সেটা অন্য রাজ্যগুলোর চেয়ে আলাদা হবে এবং গোটা পৃথিবীকে মাড়িয়ে চুরমার করে গ্রাস করবে।
24. সেই দশটা শিং হল দশজন রাজা যারা এই রাজ্যে রাজত্ব করবে। তাদের পরে আর একজন রাজা উঠবে, সে আগের রাজাদের চেয়ে অন্য রকম হবে; সে তিনজন রাজাকে হারিয়ে দেবে।
25. মহান ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সে কথা বলবে এবং তাঁর লোকদের উপর অত্যাচার করবে। সে নির্দিষ্ট করা দিনগুলো ও আইন-কানুন বদলাতে চেষ্টা করবে। ঈশ্বরের সেই লোকদের সাড়ে তিন বছরের জন্য তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
26. কিন্তু পরে তার বিচার করা হবে এবং তার ক্ষমতা তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে, আর তা চিরকালের জন্য সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হবে।
27. তারপর রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যগুলোর শক্তি মহান ঈশ্বরের লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তাঁদের রাজ্য হবে চিরস্থায়ী এবং সব রাজারা তাঁদের সেবা করবে ও তাঁদের বাধ্য হবে।’
28. “এখানেই সেই স্বপ্নের ব্যাপারটার শেষ। আমি দানিয়েল আমার এই সব চিন্তার জন্য এত ভয় পেলাম যে, আমার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল, কিন্তু স্বপ্নের ব্যাপারটা আমি মনে গেঁথে রাখলাম, কাউকে বললাম না।”