11. তখন সেই লোকেরা দল বেঁধে সেখানে গিয়ে দানিয়েলকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্র্থনা করতে ও মিনতি জানাতে দেখলেন।
12. এতে তাঁরা রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে তাঁর দেওয়া হুকুমের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, “হে মহারাজ, আপনি কি এই হুকুম জারি করেন নি যে, এর পরের ত্রিশ দিনের মধ্যে যদি কেউ আপনি ছাড়া কোন দেবতা বা মানুষের কাছে প্রার্থনা করে তবে তাকে সিংহের গর্তে ফেলে দেওয়া হবে?”রাজা উত্তর দিলেন, “মাদীয় ও পারসীকদের আইন অনুসারে এই হুকুম স্থির আছে, কারণ সেই আইন বাতিল করা যায় না।”
13. তখন তাঁরা রাজাকে বললেন, “হে মহারাজ, দানিয়েল নামে যিহূদা দেশের বন্দীদের একজন আপনার কথায় কিম্বা যে হুকুমে আপনি স্বাক্ষর করেছেন তাতে কান দেয় না। সে এখনও দিনে তিনবার প্রার্থনা করে।”
14. রাজা এই কথা শুনে খুবই দুঃখিত হলেন; দানিয়েলকে তিনি রক্ষা করবেন বলে মনে মনে স্থির করলেন এবং তাঁকে উদ্ধার করবার জন্য সূর্য না ডোবা পর্যন্ত সব রকমে চেষ্টা করলেন।
15. তখন সেই লোকেরা আবার দল বেঁধে রাজার কাছে গিয়ে বললেন, “হে মহারাজ, আপনি মনে রাখবেন যে, মাদীয় ও পারসীকদের আইন অনুসারে রাজা যে হুকুম জারি করেন তা আর বদলানো যায় না।”
16. শেষে রাজা আদেশ দিলেন আর লোকেরা দানিয়েলকে নিয়ে এসে সিংহের গর্তে ফেলে দিল। তখন রাজা দানিয়েলকে বললেন, “তুমি সব সময় যাঁর সেবা কর সেই ঈশ্বরই যেন তোমাকে রক্ষা করেন।”
17. পরে একটা পাথর এনে সেই গর্তের মুখে চাপা দেওয়া হল। রাজা তাঁর নিজের ও প্রধান লোকদের সীলমোহরের আংটি দিয়ে সেটা সীলমোহর করে দিলেন যাতে দানিয়েলের জন্য অন্য কোন ব্যবস্থা করা না যায়।
18. পরে রাজা রাজবাড়ীতে ফিরে গিয়ে কিছু না খেয়ে রাত কাটালেন এবং তাঁর জন্য কোন আনন্দের ব্যবস্থা করতে দিলেন না। তিনি সারা রাত ঘুমাতে পারলেন না।
19. ভোরের প্রথম আলো দেখা দিতেই রাজা উঠে তাড়াতাড়ি করে সেই সিংহের গর্তের দিকে গেলেন।
20. গর্র্তের কাছে গিয়ে তিনি কাতর স্বরে দানিয়েলকে ডেকে বললেন, “হে জীবন্ত ঈশ্বরের দাস দানিয়েল, তুমি সব সময় যাঁর সেবা কর তোমার সেই ঈশ্বর কি তোমাকে সিংহের মুখ থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন?”
21. দানিয়েল উত্তর দিলেন, “হে মহারাজ, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন।
22. আমার ঈশ্বর তাঁর দূত পাঠিয়ে সিংহদের মুখ বন্ধ করেছিলেন। তারা আমাকে আঘাত করে নি, কারণ ঈশ্বরের চোখে আমি নির্দোষ ছিলাম। হে মহারাজ, আপনার কাছেও আমি কোন দোষ করি নি।”