17. “ ‘যে রায় দেওয়া হল তা পাহারাদারেরা, অর্থাৎ পবিত্র দূতেরা ঘোষণা করছেন, যাতে জীবিত লোকেরা জানতে পারে যে, মানুষের রাজ্যগুলোর উপরে মহান ঈশ্বরই কর্তৃত্ব করেন এবং তিনি যাকে খুশী তাকে রাজ্য দান করেন ও মানুষের মধ্যে সবচেয়ে যে নীচু তাকেই তার উপরে বসান।’
18. “এটা সেই স্বপ্ন যা আমি রাজা নবূখদ্নিৎসর দেখেছি। এখন হে বেল্টশৎসর, তুমি বল এর অর্থ কি? আমার রাজ্যের কোন পরামর্শদাতাই এর অর্থ আমাকে বলে দিতে পারে নি; কিন্তু তুমি পারবে, কারণ তোমার মধ্যে পবিত্র এমন কিছু রয়েছে যা এই পৃথিবীর নয়।”
19. তখন দানিয়েল, অর্থাৎ বেল্টশৎসর স্বপ্নের কথা চিন্তা করে ভয় পেল এবং কিছু সময়ের জন্য হতভম্ব হয়ে রইল। এতে রাজা বললেন, “হে বেল্টশৎসর, স্বপ্ন কিম্বা তার অর্থ তোমাকে চিন্তিত না করুক।”বেল্টশৎসর উত্তর দিলেন, “হে আমার প্রভু, এই স্বপ্ন এবং তার অর্থ আপনার শত্রুদের উপর ঘটুক।
20. আপনি যে গাছটা দেখেছিলেন, যেটা বিরাট ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল, যার মাথা আকাশ ছুঁয়েছিল ও যেটা পৃথিবীর সবাই দেখতে পেয়েছিল,
21. যাতে সুন্দর পাতা ও প্রচুর ফল ছিল, যা সকলকে খাবার যোগাত, যা মাঠের পশুদের আশ্রয় দিত এবং যার ডালে আকাশের পাখীরা থাকবার জায়গা পেত-
22. আপনি, হে মহারাজ, আপনিই সেই গাছ। আপনি মহান ও বলবান হয়েছেন; আপনার শক্তি বেড়ে গিয়ে আকাশ পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং আপনার রাজ্য পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে।
23. “আপনি, হে মহারাজ, একজন পবিত্র পাহারাদারকে স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘গাছটা কেটে ধ্বংস করে ফেল, কিন্তু তার গোড়া ও শিকড়গুলো লোহা ও ব্রোঞ্জ দিয়ে বেঁধে মাটিতে মাঠের ঘাসের মধ্যে ফেলে রেখে দাও। সে আকাশের শিশিরে ভিজুক; সাত বছর পর্যন্ত সে পশুদের সংগে বাস করুক।’
24. “হে মহারাজ, আমি এখন যা বলছি তা হল আমার প্রভু মহারাজের স্বপ্নের অর্থ এবং তাঁর বিরুদ্ধে মহান ঈশ্বরের রায়।
25. আপনাকে লোকদের কাছ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং আপনি পশুদের সংগে বাস করবেন; আপনি ষাঁড়ের মত ঘাস খাবেন এবং আকাশের শিশিরে ভিজবেন। এইভাবে সাত বছর চলে যাবে, যে পর্যন্ত না আপনি মেনে নেবেন যে, মানুষের রাজ্যগুলোর উপরে মহান ঈশ্বরই কর্তৃত্ব করেন এবং তিনিই সেই সব রাজ্য যাকে ইচ্ছা তাকে দেন।