23. সন্ধি করবার পরে সেই রাজা ছলনা করবে আর অল্প কয়েকজন লোকের সাহায্যে ক্ষমতা লাভ করবে।
24. ধনী প্রদেশগুলো যখন নিজেদের নিরাপদ মনে করবে তখনই সে তাদের আক্রমণ করবে এবং তার পূর্বপুরুষেরা ও সেই পূর্বপুরুষদের পূর্বপুরুষেরা যা করতে পারে নি সে তা করবে। কেড়ে নেওয়া ও লুট করা জিনিসপত্র এবং ধন সে তার লোকদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে। সে দুর্গগুলোর সর্বনাশ করবার জন্য ষড়যন্ত্র করবে, কিন্তু তা অল্প দিনের জন্য।
25. “একটা বিরাট সৈন্যদল নিয়ে সে দক্ষিণের রাজার বিরুদ্ধে তার নিজের শক্তি ও সাহসকে উত্তেজিত করে তুলবে। দক্ষিণের রাজা এক বিরাট শক্তিশালী সৈন্যদল নিয়ে যুদ্ধ করবে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হবে তার জন্য সে দাঁড়াতে পারবে না।
26. যারা রাজার খাবারের ভাগ পায় তারা তাকে ধ্বংস করবে। তার সৈন্যদল বিরাট হলেও অনেকে মারা পড়বে।
27. এই দুই রাজার অন্তর মন্দের দিকে ঝুঁকে থাকাতে তারা একই টেবিলে বসে একে অন্যের কাছে মিথ্যা কথা বলবে, কিন্তু তাতে কোন ফল হবে না, কারণ তাদের সব কিছুর শেষ নির্দিষ্ট সময়েই আসবে।
28. উত্তরের রাজা অনেক ধন-সম্পদ নিয়ে তার নিজের দেশের দিকে যাবে, কিন্তু তার অন্তর পবিত্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে থাকবে। সে তার নিজের ইচ্ছামত কাজ করবে এবং তারপর নিজের দেশে ফিরে যাবে।
29. “নির্দিষ্ট সময়ে সে আবার দক্ষিণ দেশ আক্রমণ করবে, কিন্তু এইবার আগের মত না হয়ে অন্য রকম হবে।
30. সাইপ্রাস দ্বীপের জাহাজগুলো তাকে বাধা দেবে এবং তার মন ভেংগে যাবে। তখন সে ফিরে রাগ করে পবিত্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজের ইচ্ছামত কাজ করবে। সে ফিরে এসে যারা সেই পবিত্র ব্যবস্থা ত্যাগ করবে তাদের প্রতি মনোযোগ দেবে।
31. তার সৈন্যেরা উপাসনা-ঘর, অর্থাৎ দুর্গ অশুচি করবে এবং প্রতিদিনের উৎসর্গের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেবে। তারপর তারা সর্বনাশা ঘৃণার জিনিস স্থাপন করবে।
32. যারা পবিত্র ব্যবস্থা অমান্য করবে খোশামুদে কথা বলে সে তাদের কুপথে নিয়ে যাবে, কিন্তু যে লোকেরা তাদের ঈশ্বরকে জানে তারা খুব শক্তভাবে তাকে বাধা দেবে।
33. “সেই লোকদের মধ্যে যাদের বুঝবার ক্ষমতা আছে তারা অনেককে শিক্ষা দেবে, তবুও কিছুকাল ধরে তাদের মধ্যে অনেকে যুদ্ধে মারা পড়বে, কিম্বা তাদের পুড়িয়ে মারা হবে, কিম্বা তাদের বন্দী করা বা লুট করা হবে।
34. এই সময়ে তারা অল্পই সাহায্য পাবে এবং অনেকে খোসামুদে কথা বলে তাদের সংগে যোগ দেবে।
35. যাদের বুঝবার ক্ষমতা আছে তাদের মধ্যে কারও কারও পতন হবে। এর ফলে শেষ সময় না আসা পর্যন্ত ঈশ্বরের লোকদের খাঁটি, শুদ্ধ ও নিখুঁত করা হবে; আর সেই শেষ সময় নির্দিষ্ট করা আছে।
36. “উত্তরের রাজা নিজের ইচ্ছামত কাজ করবে। সমস্ত দেবতাদের চেয়ে সে নিজেকে বড় করে দেখাবে এবং যিনি দেবতাদের ঈশ্বর তাঁর বিরুদ্ধেও বড় বড় কথা বলবে। ঈশ্বরের ক্রোধ সম্পূর্ণভাবে ঢেলে না দেওয়া পর্যন্ত সে সফল হবে, কারণ যা স্থির করা হয়েছে তা ঘটবেই।
37. তার পূর্বপুরুষদের দেবতাদের কিম্বা স্ত্রীলোকেরা যা চায় তার প্রতি সে কোন সম্মান দেখাবে না; আসলে কোন দেবতাকেই সে সম্মান করবে না, কিন্তু সকলের উপরে নিজেকে উঁচু করে দেখাবে।
38. তাদের বদলে সে যুদ্ধের দেবতাকে সম্মান করবে; যে দেবতা পূর্বপুরুষদের অজানা তাকেই সে সোনা, রূপা, দামী দামী পাথর ও উপহার দিয়ে সম্মান দেখাবে।
39. সেই অজানা দেবতার সাহায্যে সে সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্গগুলো আক্রমণ করবে এবং যারা তাকে মেনে নেবে তাদের সে খুব সম্মানিত করবে। তাদের সে অনেক লোকের উপরে শাসনকর্তা করবে এবং পুরস্কার হিসাবে জমি ভাগ করে দেবে।
40. “শেষ সময় আসলে পর দক্ষিণ দেশের রাজা তাকে আক্রমণ করবে এবং সেই উত্তরের রাজা রথ, ঘোড়সওয়ার সৈন্য এবং অনেক জাহাজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ঝড়ের মত আসবে। সে অনেক দেশ আক্রমণ করবে এবং বন্যার মত করে তাদের ধুয়ে-মুছে ফেলবে।