6. তাঁর দেহ বৈদূর্যমণির মত, মুখ বিদ্যুতের মত, চোখ জ্বলন্ত মশালের মত, হাত-পা পালিশ করা ব্রোঞ্জের উজ্জ্বলতার মত এবং তাঁর স্বর জড়ো হওয়া অনেক লোকের আওয়াজের মত।
7. আমি দানিয়েল একাই সেই দর্শন দেখতে পেলাম; আমার সংগের লোকেরা তা দেখতে পেল না, কিন্তু তারা এত ভয় পেল যে, তারা পালিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রইল।
8. কাজেই আমি একাই সেই মহৎ দর্শন দেখতে লাগলাম। আমার মধ্যে কোন শক্তি রইল না, আমার মুখ মরার মত ফ্যাকাশে হয়ে গেল এবং আমি দুর্বল হয়ে পড়লাম।
9. তারপর আমি সেই লোকের কথা শুনতে পেলাম এবং তাঁর কথা শোনামাত্রই আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়লাম।
10. তখন একটা হাত আমাকে ছুঁয়ে আমাকে দুই হাত ও হাঁটুর উপরে ভর করিয়ে দিল।
11. তিনি বললেন, “হে ঈশ্বরের প্রিয় দানিয়েল, আমি তোমাকে যে কথা বলতে যাচ্ছি তাতে ভাল করে মনোযোগ দাও। তুমি উঠে দাঁড়াও, কারণ আমাকে এখন তোমার কাছে পাঠানো হয়েছে।” তিনি আমাকে এই কথা বললে পর আমি কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়ালাম।
12. তিনি বলতে লাগলেন, “দানিয়েল, ভয় কোরো না। প্রথম যেদিন তুমি দর্শনের বিষয় বুঝবার জন্য এবং তোমার ঈশ্বরের সামনে অন্তর ভেংগেচুরে কষ্ট স্বীকার করবার জন্য মন স্থির করেছিলে সেই দিনই তোমার কথা শোনা হয়েছিল আর সেইজন্যই আমি এসেছি।
13. কিন্তু পারস্য রাজ্যের প্রধান একুশ দিন পর্যন্ত আমাকে বাধা দিয়েছিল। তখন মীখায়েল নামে প্রধান স্বর্গদূতদের একজন আমাকে সাহায্য করতে আসলেন, কারণ আমি পারস্যের রাজাদের মধ্যে একা ছিলাম।
14. ভবিষ্যতে তোমার লোকদের উপর যা ঘটবে তা তোমাকে বুঝাবার জন্য আমি এখন তোমার কাছে এসেছি, কারণ দর্শনের মধ্যে যে সময়ের কথা বলা হয়েছে তা এখনও আসে নি।”
15. তিনি যখন আমাকে এই কথা বলছিলেন তখন আমি মাথা নীচু করে ছিলাম, আমার মুখে কোন কথা ছিল না।
16. তখন মানুষের মত দেখতে সেই স্বর্গদূত, যিনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি আমার ঠোঁট ছুঁলেন, আর আমি মুখ খুলে তাঁকে বললাম, “হে আমার প্রভু, এই দর্শনের জন্য আমি মনে খুব কষ্ট পাচ্ছি এবং আমি দুর্বল হয়ে পড়েছি।