38. তবুও তিনি মমতায় পূর্ণ বলে তাদের অন্যায় ক্ষমা করলেন,তাদের ধ্বংস করলেন না;তাঁর ক্রোধ তিনি বার বার দমন করলেন,তাঁর সম্পূর্ণ ক্রোধ জ্বলে উঠল না।
39. তিনি ভেবে দেখলেন তারা মানুষ মাত্র,তারা বয়ে যাওয়া বাতাসের মত যা ফিরে আসে না।
40. মরু-এলাকায় কতবার তাঁর বিরুদ্ধে তারা বিদ্রোহ করেছে,সেই মরুভূমিতে কতবার তাঁকে দুঃখ দিয়েছে।
41. বার বার তারা ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেছে,ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনকে কষ্ট দিয়েছে।
42. তারা তাঁর শক্তির কথা মনে রাখে নি;মনে রাখে নি সেই দিনের কথা-যেদিন তিনি শত্রুর হাত থেকে তাদের মুক্ত করেছিলেন,
43. যেদিন মিসরে তিনি চিহ্ন দেখিয়েছিলেনআর আশ্চর্য কাজ করেছিলেন সোয়ন এলাকায়।
44. সেদিন তাদের সমস্ত নদীর জল তিনি রক্ত করে দিয়েছিলেনআর সেই জল তারা খেতে পারে নি।
45. তাদের মধ্যে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে পোকা পাঠালেন,সেগুলো তাদের যেন খেয়ে শেষ করে দিল।তিনি ব্যাংয়ের দল পাঠিয়ে দিলেন,সেগুলো তাদের সর্বনাশ করল।
46. তাদের শস্য তিনি ফড়িংকে দিলেনআর তাদের ফসল দিলেন পংগপালকে।
47. শিলাবৃষ্টি দিয়ে তাদের আংগুর লতা তিনি নষ্ট করে দিলেন;জমে যাওয়া শিশির দিয়ে ডুমুর গাছ নষ্ট করে দিলেন।
48. তিনি শিলাবৃষ্টির হাতে তাদের গরুর পাল তুলে দিলেনআর বাজ পড়ার হাতে তুলে দিলেন তাদের পশুর পাল।
49. তিনি তাদের বিরুদ্ধে তাঁর জ্বলন্ত উপ্চে পড়া ভীষণ ক্রোধআর দুঃখ-কষ্ট পাঠিয়ে দিলেন;সেগুলো হল ধ্বংসের কাজে নিযুক্ত একদল দূত।
50. তাঁর ক্রোধ প্রকাশের পথের বাধা তিনি দূর করে দিলেন;তিনি মৃত্যু থেকে তাদের রেহাই দেন নিবরং মড়কের হাতে তাদের তুলে দিলেন।
51. তিনি মিসর দেশের প্রত্যেকটি প্রথম পুরুষ সন্তানকে আঘাত করলেন,আঘাত করলেন হাম-বংশের তাম্বুতেযৌবন-শক্তির প্রত্যেকটি প্রথম ফলকে।
52. এর পর তাঁর লোকদের তিনি ভেড়ার মত করেবের করে আনলেন,আর মরু-এলাকার মধ্য দিয়ে ভেড়ার পালের মত করেতাদের পরিচালনা করলেন।