7. ফলে তোমরা আর দাস নও বরং সন্তান। যদি তোমরা সন্তানই হয়ে থাক তবে ঈশ্বর যা দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন তোমরা তার অধিকারী।
8. আগে যখন তোমরা ঈশ্বরকে চিনতে না তখন তোমরা যাদের সেবা করতে তারা আসলে কোন দেবতাই নয়।
9. কিন্তু এখন তোমরা ঈশ্বরকে চিনেছ; তার চেয়ে বরং এই কথা বললে ঠিক হবে যে, ঈশ্বরই তোমাদের চিনেছেন। তাহলে কেমন করে তোমরা আবার জগতের সেই নানা দুর্বল ও নিষ্ফল রীতিনীতির দিকে ফিরছ? তোমরা কি আবার সেই সবের দাস হতে চাইছ?
10. তোমরা বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বছর পালন করছ।
11. তোমাদের জন্য আমার এই ভয় হচ্ছে যে, তোমাদের মধ্যে হয়তো আমি মিথ্যাই পরিশ্রম করেছি।
12. ভাইয়েরা, আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা আমার মত হও, কারণ আমিও তোমাদের মত হয়েছি। তোমরা আমার উপর কোন অন্যায় কর নি।
13. তোমরা জান যে, আমার শরীর অসুস্থ ছিল বলে আমি প্রথম বার তোমাদের কাছে সুখবর প্রচার করবার সুযোগ পেয়েছিলাম।
14. আমার অসুস্থতা যদিও তোমাদের কষ্ট দিয়েছিল তবুও তোমরা আমাকে তুচ্ছ বা ঘৃণা কর নি, বরং ঈশ্বরের দূতকে কিম্বা খ্রীষ্ট যীশুকে যেভাবে গ্রহণ করতে সেইভাবেই তোমরা আমাকে গ্রহণ করেছিলে।
15. কিন্তু এখন নিজেদের সেই ধন্য মনে করবার ভাব তোমাদের কোথায় গেল? আমি তোমাদের সম্বন্ধে এই সাক্ষ্য দিতে পারি যে, সম্ভব হলে তখন তোমরা তোমাদের চোখ তুলে নিয়ে আমাকে দিতে।
16. এখন সত্যি কথা বলবার জন্য কি আমি তোমাদের শত্রু হয়ে গেছি?
17. সেই অন্য লোকেরা তোমাদের জন্য আগ্রহী হয়েছে, কিন্তু সেটা কোন ভাল উদ্দেশ্যের জন্য নয়। তারা আমার দিক থেকে তোমাদের ফিরাতে চায়, যেন তোমরা তাদের প্রতি আগ্রহী হও।
18. অবশ্য সৎ উদ্দেশ্যের জন্য আগ্রহ থাকা ভাল। আমি যখন তোমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকি কেবল তখন নয়, কিন্তু সব সময়েই আগ্রহ থাকা ভাল।
19. আমার সন্তানেরা, যতদিন না তোমরা খ্রীষ্টের মত হও ততদিন পর্যন্ত আমি আবার তোমাদের জন্য প্রসব-বেদনার মত কষ্ট ভোগ করছি।
20. আমার এমন ইচ্ছা হচ্ছে যে, এই চিঠি লেখার বদলে আমি এখনই তোমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়ে তোমাদের সংগে কথা বলি, কারণ তোমাদের সম্বন্ধে আমি কি করব তা বুঝতে পারছি না।
21. তোমরা যারা আইন-কানুনের অধীনে থাকতে চাইছ, তোমরা আমাকে বল দেখি, আইন-কানুন যা বলে তা কি তোমরা শুনতে পাও না?