17. সেই অন্য লোকেরা তোমাদের জন্য আগ্রহী হয়েছে, কিন্তু সেটা কোন ভাল উদ্দেশ্যের জন্য নয়। তারা আমার দিক থেকে তোমাদের ফিরাতে চায়, যেন তোমরা তাদের প্রতি আগ্রহী হও।
18. অবশ্য সৎ উদ্দেশ্যের জন্য আগ্রহ থাকা ভাল। আমি যখন তোমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকি কেবল তখন নয়, কিন্তু সব সময়েই আগ্রহ থাকা ভাল।
19. আমার সন্তানেরা, যতদিন না তোমরা খ্রীষ্টের মত হও ততদিন পর্যন্ত আমি আবার তোমাদের জন্য প্রসব-বেদনার মত কষ্ট ভোগ করছি।
20. আমার এমন ইচ্ছা হচ্ছে যে, এই চিঠি লেখার বদলে আমি এখনই তোমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়ে তোমাদের সংগে কথা বলি, কারণ তোমাদের সম্বন্ধে আমি কি করব তা বুঝতে পারছি না।
21. তোমরা যারা আইন-কানুনের অধীনে থাকতে চাইছ, তোমরা আমাকে বল দেখি, আইন-কানুন যা বলে তা কি তোমরা শুনতে পাও না?
22. শাস্ত্রে লেখা আছে অব্রাহামের দু’টি ছেলে ছিল, তাদের একজনের মা ছিল এক দাসী ও আর একজনের মা ছিলেন অব্রাহামের আসল স্বাধীন স্ত্রী।
23. স্বাভাবিক ভাবেই সেই দাসীর সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল, কিন্তু যিনি স্বাধীন ছিলেন তাঁর সন্তানটি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার ফলে জন্মগ্রহণ করেছিল।
24. আমি রূপক অর্থে এই সব কথা বলছি। এই দু’জন স্ত্রীলোক দু’টি ব্যবস্থাকে বুঝায়। একটা ব্যবস্থা সিনাই পাহাড় থেকে এসেছে এবং তা তার অধীন মানুষকে দাস হবার পথে নিয়ে যাচ্ছে। এ হল সেই দাসী হাগার।
25. হাগার আরব দেশের সিনাই পাহাড়কে বুঝায়। হাগার এখনকার যিরূশালেমের একটা ছবিও বটে, কারণ যিরূশালেম তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে দাসী হয়েছে।
26. কিন্তু যে যিরূশালেম স্বর্গের, সে স্বাধীন; সে-ই আমাদের মা।
27. পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “হে বন্ধ্যা স্ত্রীলোক, যার কখনও সন্তান হয় নি, তুমি আনন্দে গান কর; তুমি, যার কখনও প্রসব-বেদনা হয় নি, তুমি গানে ফেটে পড়, আনন্দে চিৎকার কর; কারণ যার স্বামী আছে তার চেয়ে যার কেউ নেই তার সন্তান অনেক বেশী হবে।”