1. ওহে অবুঝ গালাতীয়েরা! কে তোমাদের যাদু করেছে? তোমাদের কাছে তো স্পষ্টভাবেই প্রচার করা হয়েছে যে, যীশু খ্রীষ্টকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল।
2. আমি কেবল তোমাদের কাছ থেকে জানতে চাই, তোমরা আইন- কানুন পালন করে কি পবিত্র আত্মাকে পেয়েছিলে, না সুখবর শুনে বিশ্বাস করে পেয়েছিলে?
3. তোমরা কি এতই অবুঝ? পবিত্র আত্মার মধ্য দিয়ে নতুন জীবন আরম্ভ করে কি এখন নিজের চেষ্টায় পূর্ণতা লাভ করতে যাচ্ছ?
4. তোমরা কি মিথ্যাই এত দুঃখভোগ করেছ? আমি আশা করি তোমাদের সেই দুঃখভোগ অনর্থক হয় নি।
5. ঈশ্বর কেন তোমাদের পবিত্র আত্মা দিয়েছেন এবং তোমাদের মধ্যে এত আশ্চর্য কাজ করছেন তা ভেবে দেখ। তোমরা আইন-কানুন পালন করছ বলেই কি তিনি এই সব করছেন, নাকি সুখবর শুনে বিশ্বাস করেছ বলে করছেন?
6. অব্রাহামের কথা ভেবে দেখ। পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “অব্রাহাম ঈশ্বরের কথা বিশ্বাস করলেন আর ঈশ্বর সেইজন্য তাঁকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করলেন।”
7. এইজন্য তোমরা এই কথা জেনো, যারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে কেবল তারাই অব্রাহামের বংশধর।
8. পবিত্র শাস্ত্রে আগেই লেখা হয়েছিল, বিশ্বাসের জন্যই ঈশ্বর অযিহূদীদের নির্দোষ বলে গ্রহণ করবেন। অব্রাহামের কাছে এই কথা বলে আগেই সুখবর জানানো হয়েছিল, “তোমার মধ্য দিয়েই সব জাতি আশীর্বাদ পাবে।”
9. তাহলে দেখা যায়, ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে অব্রাহাম যেমন আশীর্বাদ পেয়েছিলেন ঠিক তেমনি তাঁর পর থেকে যারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করছে তারাও সেই আশীর্বাদ পাচ্ছে।
10. পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “সেই লোক অভিশপ্ত, যে আইন-কানুনে লেখা প্রত্যেকটি কথা পালন করে না।” তাহলে দেখা যায়, যারা আইন-কানুন পালন করবার উপর নির্ভর করে তাদের সকলের উপরে এই অভিশাপ রয়েছে।
11. তা ছাড়া এটাও পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে, আইন-কানুন পালন করবার জন্য ঈশ্বর কাউকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করেন না, কারণ পবিত্র শাস্ত্রের কথামত, “যাকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হয় সে বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।” বিশ্বাসের সংগে আইন-কানুনের কোন সম্বন্ধ নেই।