10. আমি এতে কার প্রশংসা পাবার চেষ্টা করছি, মানুষের না ঈশ্বরের? না কি মানুষকে সন্তুষ্ট করবার চেষ্টা করছি? আমি যদি এখনও মানুষকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করি তবে তো আমি খ্রীষ্টের দাস নই।
11. ভাইয়েরা, আমি তোমাদের জানাচ্ছি, আমি যে সুখবর প্রচার করেছি তা কোন মানুষের বানানো কথা নয়।
12. আমি কোন লোকের কাছ থেকে তা পাই নি বা কেউ আমাকে তা শেখায় নি, বরং যীশু খ্রীষ্ট নিজেই আমার কাছে তা প্রকাশ করেছিলেন।
13. যিহূদী ধর্ম পালন করবার সময় কিভাবে আমি জীবন কাটাতাম তা তো তোমরা শুনেছ। আর তোমরা এও শুনেছ যে, কি ভীষণ ভাবে আমি ঈশ্বরের মণ্ডলীর উপরে অত্যাচার করতাম ও তা ধ্বংস করবার চেষ্টা করতাম।
14. আমার বয়সের অনেক যিহূদীর চেয়েও আমি সেই ধর্মে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এছাড়া আমার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে যে সব নিয়ম চলে আসছে সেই বিষয়েও আমি খুবই উৎসাহী ছিলাম।
15. কিন্তু ঈশ্বর আমার জন্মের সময় থেকেই আমাকে নিযুক্ত করে রেখেছিলেন এবং তাঁরই দয়ায় প্রেরিত্ হবার জন্য তিনি আমাকে ডেকেছিলেন।
16. আমি যেন অযিহূদীদের কাছে খ্রীষ্টের বিষয়ে সুখবর প্রচার করি, এইজন্য ঈশ্বর যখন তাঁর ইচ্ছা অনুসারে তাঁর পুুত্রকে আমার কাছে প্রকাশ করলেন তখন আমি কোন লোকের সংগে পরামর্শ করি নি।
17. এমন কি, যাঁরা আমার আগে প্রেরিত্ হয়েছিলেন আমি যিরূশালেমে তাঁদের কাছেও যাই নি। আমি তখন আরব দেশে চলে গিয়েছিলাম এবং পরে আবার দামেস্ক শহরে ফিরে এসেছিলাম।
18. এর তিন বছর পরে আমি প্রথম বার পিতরের সংগে দেখা করবার জন্য যিরূশালেমে গিয়েছিলাম, আর সেখানে তাঁর সংগে পনেরো দিন ছিলাম।
19. তখন প্রভুর ভাই যাকোব ছাড়া অন্য কোন প্রেরিতের সংগে আমার দেখা হয় নি।
20. ঈশ্বর সাক্ষী যে, আমি তোমাদের কাছে যা লিখছি তার কিছুই মিথ্যা নয়।
21. তারপর আমি সিরিয়া ও কিলিকিয়ার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলাম।
22. যিহূদিয়ার খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীগুলো আমাকে চিনত না।
23. তারা কেবল এই কথা শুনেছিল, “যে লোক আমাদের উপর অত্যাচার করত সে এখন খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাসের কথা প্রচার করছে, অথচ তা সে আগে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।”
24. আর তারা আমার দরুন ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল।