12. পবিত্র তাম্বুর কাজে ব্যবহার করবার সমস্ত জিনিসপত্র তারা নীল কাপড়ে জড়িয়ে শুশুকের চামড়া দিয়ে ঢেকে সেটা তার বয়ে নেবার তক্তার উপরে রাখবে।
13. ব্রোঞ্জের বেদীটার সমস্ত ছাই ফেলে দিয়ে তারা একটা বেগুনী রংয়ের কাপড় তার উপর বিছিয়ে দেবে।
14. তারপর তার উপর তারা বেদীর কাজের সমস্ত বাসন-কোসন, আগুন রাখবার পাত্র, মাংস তুলবার কাঁটা, হাতা ও উৎসর্গের রক্ত রাখবার বাটি রাখবে। তারা তার উপর শুশুকের চামড়া বিছিয়ে দেবে এবং তার ডাণ্ডাগুলো জায়গামত ঢুকিয়ে দেবে।
15. “হারোণ ও তার ছেলেরা যখন এই সব পবিত্র জিনিসপত্র ও পবিত্র তাম্বুর সাজ-সরঞ্জাম ঢাকা দেওয়া শেষ করবে এবং লোকেরা তাম্বু তুলে যাত্রার জন্য প্রস্তুত হবে তখন কহাতীয়েরা এই সব বয়ে নেবার জন্য আসবে। কিন্তু কোন পবিত্র জিনিষে তাদের হাত দেওয়া চলবে না। তা করলে তারা মারা পড়বে। মিলন-তাম্বুতে যে সব জিনিস থাকবে কহাতীয়দের সেগুলো বয়ে নিতে হবে।
16. বাতির তেল, সুগন্ধি ধূপ, নিয়মিত শস্য-উৎসর্গ এবং অভিষেক-তেলের ভার থাকবে পুরোহিত হারোণের ছেলে ইলীয়াসরের উপর। পুরো আবাস-তাম্বু ও তার মধ্যেকার সমস্ত কিছুর, অর্থাৎ পবিত্র তাম্বুর ও তার সাজ-সরঞ্জামের ভার থাকবে ইলীয়াসরের উপর।”
17. এর পর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
18. “তোমরা দেখো যেন লেবি-গোষ্ঠীর মধ্য থেকে কহাতীয় বংশগুলো মুছে না যায়।
19. যাতে তারা মহাপবিত্র জিনিসগুলোর কাছে গিয়ে মারা না পড়ে বরং বেঁচে থাকে সেই উদ্দেশ্যে হারোণ ও তার ছেলেরা পবিত্র তাম্বুর মধ্যে গিয়ে প্রত্যেকের কাজ এবং কি তাকে বয়ে নিয়ে যেতে হবে তা ঠিক করে দেবে।
20. কিন্তু সেই সমস্ত পবিত্র জিনিস দেখবার জন্য কহাতীয়দের ভিতরে যাওয়া চলবে না, এক মুহূর্তের জন্যও না। তা করলে তারা মারা পড়বে।”
21. সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
22. “পরিবার ও বংশ অনুসারে তুমি গের্শোনীয়দেরও সংখ্যা গণনা কর।
23. ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সের যে গের্শোনীয় পুরুষেরা মিলন-তাম্বুর কাজ করতে আসবে কেবল তাদের সংখ্যা গণনা করবে।