16. সেখান থেকে যাত্রা করে ইস্রায়েলীয়েরা বের নামে একটা কূয়ার কাছে আসল। এই কূয়ার কাছে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি লোকদের একসংগে জড়ো কর, আমি তাদের জল দেব।”
17. তখন ইস্রায়েলীয়েরা এই গানটা করল:“হে কূয়া, তুমি জলে ভরে ওঠো।তোমরা এই কূয়ার বিষয় নিয়ে গান কর।
18. এটা সেই কূয়া যা শাসনকর্তারাশাসনদণ্ডের জোরে খুঁড়েছেন,যা গণ্যমান্য লোকেরা লাঠিরজোরে করেছেন।”তারপর ইস্রায়েলীয়েরা সেই মরু-এলাকা থেকে মত্তানায়,
19-20. মত্তানা থেকে নহলীয়েলে, নহলীয়েল থেকে বামোতে এবং বামোৎ থেকে মোয়াবের উপত্যকায় গেল। সেই উপত্যকার কাছে পিস্গা পাহাড়শ্রেণীর মধ্যেকার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের উপর থেকে মরু-এলাকার যিশীমোন নামে জায়গাটা দেখা যায়।
21. ইস্রায়েলীয়েরা ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের কাছে লোক পাঠিয়ে অনুরোধ করল,
22. “আপনার রাজ্যের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে দিন। আমরা রাস্তা ছেড়ে কোন জমির মধ্যে বা আংগুর ক্ষেতে যাব না, কিম্বা কোন কূয়া থেকে জলও খাব না। আপনার রাজ্য পার হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ধরেই চলতে থাকব।”
23. কিন্তু সীহোন তাঁর রাজ্যের মধ্য দিয়ে ইস্রায়েলীয়দের যেতে দিলেন না। তিনি তাঁর সমস্ত সৈন্যদল নিয়ে মরু-এলাকায় ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন। তিনি যহস শহরে উপস্থিত হয়ে ইস্রায়েলীয়দের সংগে যুদ্ধ করলেন।
24. এই যুদ্ধে ইস্রায়েলীয়েরা তাঁকে মেরে ফেলে অর্ণোন থেকে যব্বোক নদী পর্যন্ত তাঁর দেশটা অধিকার করে নিল। তারা কেবল অম্মোনীয়দের সীমানা পর্যন্ত অধিকার করতে পেরেছিল, কারণ অম্মোনীয়দের দেশের সীমানাটা এমন ছিল যা ডিংগিয়ে যাওয়া সহজ ছিল না।
25. ইস্রায়েলীয়েরা হিষ্বোন ও তার আশেপাশের গ্রামগুলো সুদ্ধ ইমোরীয়দের সমস্ত শহর দখল করে নিল এবং সেখানে বাস করতে লাগল।
26. হিষ্বোন ছিল ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের রাজধানী। তিনি মোয়াব দেশের আগেকার রাজার সংগে যুদ্ধ করে তাঁর কাছ থেকে অর্ণোন নদী পর্যন্ত সমস্ত দেশটা দখল করে নিয়েছিলেন।
27. এইজন্যই কবিরা বলেছেন:“তোমরা হিষ্বোনে এসে শহরটাআবার গড়ে তোলো।সীহোনের শহরটা আবারগড়ে তোলা হোক।
28. সীহোনের শহর হিষ্বোন থেকেআগুন বেরিয়ে এসেমোয়াব দেশের আর্ শহরটা পুড়িয়ে দিলআর অর্ণোন নদীর কাছের উঁচু জায়গারবাসিন্দাদের পুড়িয়ে দিল।