8. এর পর সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “আমার কাছে যে সব জিনিস উৎসর্গ করা হয় তার সমস্ত দায়িত্বভার আমি নিজেই তোমাকে দিয়েছি। আমার উদ্দেশে ইস্রায়েলীয়দের উৎসর্গ-করা সমস্ত পবিত্র জিনিস আমি তোমার ও তোমার বংশধরদের সব সময়কার পাওনা হিসাবে দিলাম।
9. মহাপবিত্র উৎসর্গের জন্য, অর্থাৎ শস্য-উৎসর্গ, পাপ-উৎসর্গ এবং দোষ-উৎসর্গের জন্য ইস্রায়েলীয়েরা আমার কাছে যা নিয়ে আসবে আর যে অংশ বেদীর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হবে না তা তোমরা নেবে; তা হবে তোমার ও তোমার বংশধরদের পাওনা।
10. পবিত্র জিনিস যেভাবে খেতে হয় তোমরা সেইভাবেই তা খাবে। তোমাদের সমস্ত পুরুষ লোক তা খেতে পারবে। সেগুলো পবিত্র বলে তাদের মনে করতে হবে।
11. ইস্রায়েলীয়দের দেওয়া সমস্ত দোলন-উৎসর্গের জিনিসও তোমার হবে। সেগুলো আমি তোমাকে ও তোমার বংশের সকলকে সব সময়কার পাওনা হিসাবে দিচ্ছি। তোমার পরিবারের মধ্যে যারা শুচি অবস্থায় থাকবে তারা তা খেতে পারবে।
12. “ইস্রায়েলীয়েরা তাদের প্রথমে তোলা ফসলের সবচেয়ে ভাল যে জলপাই তেল, নতুন আংগুর-রস ও শস্য সদাপ্রভুকে দেবে তা সবই আমি তোমাকে দিলাম।
13. সদাপ্রভুর কাছে আনা তাদের জমির প্রথম ফসল তোমার হবে। তোমার পরিবারে যারা শুচি অবস্থায় থাকবে তারা তা খেতে পারবে।
14. ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে ধ্বংসের অভিশাপের অধীন বলে ঘোষণা করা প্রত্যেকটি জিনিস তোমার হবে।
15. সদাপ্রভুর কাছে ইস্রায়েলীয়দের উৎসর্গ করা প্রত্যেকটি প্রথম পুরুষ সন্তান তোমার হবে- সে মানুষের হোক বা পশুর হোক। মানুষের প্রথম পুরুষ সন্তানকে তুমি অবশ্যই ছাড়িয়ে নিতে দেবে এবং অশুচি পশুর প্রথম পুরুষ বাচ্চাকেও তুমি ছাড়িয়ে নিতে দেবে।
16. একমাস বয়স হলে পর ঠিক করা মুক্তির মূল্যে, অর্থাৎ দশ গ্রাম ওজনের ধর্মীয় শেখেলের পাঁচ শেখেল রূপা দিয়ে, মানুষের প্রথম পুরুষ সন্তানকে তুমি ছাড়িয়ে নিতে দেবে।
17. কিন্তু প্রথমে জন্মেছে এমন এঁড়ে বাছুর কিম্বা ভেড়া বা ছাগলের পুরুষ বাচ্চা ছাড়িয়ে নিতে দেওয়া চলবে না। এগুলো পবিত্র। তুমি বেদীর উপরে সেগুলোর রক্ত ছিটিয়ে দেবে এবং আগুনে-করা উৎসর্গ হিসাবে তাদের চর্বি পুড়িয়ে দেবে। এর গন্ধে সদাপ্রভু খুশী হন।
18. দোলন-উৎসর্গের বুকের মাংস ও ডান দিকের ঊরুর মাংসের মত এগুলোর মাংসও তোমার পাওনা হবে।
19. সদাপ্রভুর উদ্দেশে ইস্রায়েলীয়দের উৎসর্গ করা সমস্ত পবিত্র জিনিস আমি তোমাকে ও তোমার ছেলেমেয়েদের সব সময়কার পাওনা হিসাবে দিলাম। এটা সদাপ্রভুর চোখে তোমার ও তোমার বংশের সকলের জন্য একটা চিরকালের অটল ব্যবস্থা।”