31. মোশির এই কথা বলা শেষ হওয়ার সংগে সংগে ঐ সব লোকদের পায়ের নীচের মাটি দু’ভাগ হয়ে গেল,
32. আর পৃথিবী মুখ খুলে কোরহের পরিবারের সমস্ত লোক এবং সব কিছু গিলে ফেলল।
33. তাদের যা কিছু ছিল সব নিয়ে তারা জ্যান্ত অবস্থায় মৃতস্থানে চলে গেল। তারপর তাদের উপরকার সেই ফাটলটা বন্ধ হয়ে গেল। তারা ইস্রায়েলীয়দের মধ্য থেকে ধ্বংস হয়ে গেল।
34. তাদের কান্নায় চারপাশের সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা চিৎকার করে এই কথা বলতে বলতে ছুটে পালাল, “পৃথিবী হয়তো আমাদেরও গিলে ফেলবে।”
35. এদিকে যে দু’শো পঞ্চাশজন লোক ধূপ উৎসর্গ করছিল সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন বের হয়ে এসে তাদের পুড়িয়ে ফেলল।
36. সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
37. “তুমি পুরোহিত হারোণের ছেলে ইলীয়াসরকে বল যেন সে ঐ পোড়া জায়গা থেকে ধুপদানিগুলো বের করে নিয়ে কয়লাগুলো কিছু দূরে নিয়ে ছড়িয়ে দেয়, কারণ ধূপদানিগুলো আমার উদ্দেশ্যে আলাদা করা হয়ে গেছে।
38. পাপ করবার দরুন যে সমস্ত লোককে মরতে হয়েছে ধূপদানিগুলো তাদেরই। কিন্তু সেগুলো সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করা হয়েছিল বলে সেগুলো তাঁর উদ্দেশ্যে আলাদা করা হয়ে গেছে। সেইজন্য তুমি সেগুলো পিটিয়ে পাত তৈরী করে তা দিয়ে বেদীটা মুড়িয়ে দিয়ো। এটা যেন ইস্রায়েলীয়দের কাছে একটা চিহ্ন হয়ে থাকে।”
39. যে লোকদের পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল তাদের আনা ব্রোঞ্জের ধূপদানিগুলো পুরোহিত ইলীয়াসর জড়ো করলেন। তারপর বেদীটা মুড়াবার জন্য তিনি সেগুলো পিটিয়ে পাত তৈরী করালেন।
40. মোশির মধ্য দিয়ে সদাপ্রভু তাঁকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি তা-ই করলেন। এটা করা হল যাতে ইস্রায়েলীয়েরা মনে রাখে যে, হারোণের বংশধর ছাড়া আর কেউ ধূপ জ্বালাবার জন্য সদাপ্রভুর সামনে যেতে পারবে না; যদি কেউ যায় তবে তার অবস্থা কোরহ ও তার দলের লোকদের মতই হবে।
41. এর পরের দিন ইস্রায়েলীয় সমাজের সবাই মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে বক্বক্ করতে লাগল এবং বলল, “তোমরাই সদাপ্রভুর লোকদের মেরে ফেলেছ।”