26. মোশি ইস্রায়েলীয়দের বললেন, “তোমরা এই দুষ্ট লোকদের তাম্বুর কাছ থেকে সরে যাও। তাদের কোন জিনিস তোমরা ছুঁয়ো না; যদি তা কর তবে তাদের পাপের জন্য তোমাদেরও শেষ করে ফেলা হবে।”
27. এই কথা শুনে লোকেরা কোরহ, দাথন ও অবীরামের তাম্বুর কাছ থেকে সরে গেল। এর মধ্যে দাথন ও অবীরাম তাদের স্ত্রী ও ছোট-বড় ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাম্বুর দরজার কাছে বের হয়ে এসে দাঁড়িয়ে ছিল।
28. মোশি তখন ইস্রায়েলীয়দের বললেন, “এতেই তোমরা বুঝতে পারবে যে, আমি যা করছি তা করবার জন্য সদাপ্রভুই আমাকে পাঠিয়েছেন; এটা আমার মনগড়া কিছু নয়।
29. এই সমস্ত লোকদের যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়, আর অন্য মানুষের যা হয় তা থেকে আলাদা কিছু না হয় তাহলে বুঝতে হবে সদাপ্রভু আমাকে পাঠান নি।
30. কিন্তু সদাপ্রভু যদি সম্পূর্ণ নতুন কিছু করেন এবং পৃথিবী মুখ খুলে যদি তাদের এবং তাদের সব কিছু গিলে ফেলে আর যদি তারা জ্যান্ত অবস্থায় মৃতস্থানে চলে যায় তবে তোমরা বুঝবে যে, এই লোকেরা সদাপ্রভুকে তুচ্ছ করেছে।”
31. মোশির এই কথা বলা শেষ হওয়ার সংগে সংগে ঐ সব লোকদের পায়ের নীচের মাটি দু’ভাগ হয়ে গেল,
32. আর পৃথিবী মুখ খুলে কোরহের পরিবারের সমস্ত লোক এবং সব কিছু গিলে ফেলল।
33. তাদের যা কিছু ছিল সব নিয়ে তারা জ্যান্ত অবস্থায় মৃতস্থানে চলে গেল। তারপর তাদের উপরকার সেই ফাটলটা বন্ধ হয়ে গেল। তারা ইস্রায়েলীয়দের মধ্য থেকে ধ্বংস হয়ে গেল।
34. তাদের কান্নায় চারপাশের সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা চিৎকার করে এই কথা বলতে বলতে ছুটে পালাল, “পৃথিবী হয়তো আমাদেরও গিলে ফেলবে।”
35. এদিকে যে দু’শো পঞ্চাশজন লোক ধূপ উৎসর্গ করছিল সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন বের হয়ে এসে তাদের পুড়িয়ে ফেলল।
36. সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
37. “তুমি পুরোহিত হারোণের ছেলে ইলীয়াসরকে বল যেন সে ঐ পোড়া জায়গা থেকে ধুপদানিগুলো বের করে নিয়ে কয়লাগুলো কিছু দূরে নিয়ে ছড়িয়ে দেয়, কারণ ধূপদানিগুলো আমার উদ্দেশ্যে আলাদা করা হয়ে গেছে।