14. এছাড়া তুমি তো সেই রকম কোন দুধ আর মধুতে ভরা দেশে আমাদের নিয়ে যাও নি কিম্বা জমাজমি এবং আংগুর ক্ষেতের অধিকারও দাও নি। তুমি কি এই লোকদের অন্ধ করে রাখতে চাইছ? না, আমরা যাব না।”
15. এই কথা শুনে মোশি ভীষণ রেগে গিয়ে সদাপ্রভুকে বললেন, “তুমি ওদের উৎসর্গ গ্রহণ কোরো না। আমি ওদের কাছ থেকে একটা গাধা পর্যন্ত নিই নি আর ওদের কোন ক্ষতিও করি নি।”
16. তারপর মোশি কোরহকে বললেন, “কাল তোমাকে ও তোমার দলের সবাইকে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হতে হবে। তুমি ও তোমার দলের লোকদের এবং সেই সংগে হারোণকেও উপস্থিত হতে হবে।
17. প্রত্যেককে তার ধূপদানিতে ধূপ দিতে হবে; মোট দু’শো পঞ্চাশটা ধূপদানিতে ধূপ দিয়ে সদাপ্রভুর সামনে তা উৎসর্গ করতে হবে। তোমাকে এবং হারোণকেও ধূপদানিতে ধূপ উৎসর্গ করতে হবে।”
18. মোশির কথামত প্রত্যেকে নিজের নিজের ধূপদানিতে আগুন ও ধূপ নিয়ে মিলন-তাম্বুর দরজার সামনে মোশি ও হারোণের সংগে গিয়ে দাঁড়াল।
19. কোরহ যখন মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে সমাজের সমস্ত লোকদের জড়ো করে মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াল তখন তাদের সকলের সামনে সদাপ্রভুর মহিমা দেখা দিল।
20. সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
21. “তোমরা অন্য সমস্ত লোক থেকে আলাদা হয়ে যাও, যাতে আমি তাদের এই মুহূর্তে শেষ করে দিতে পারি।”
22. কিন্তু মোশি ও হারোণ মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বললেন, “হে ঈশ্বর, তুমি সমস্ত মানুষের প্রাণদাতা। কেবল একজন মানুষ পাপ করেছে বলে কি তুমি গোটা ইস্রায়েলীয় সমাজের উপর তোমার ক্রোধ প্রকাশ করবে?”
23. তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
24. “তুমি ইস্রায়েলীয়দের বল যেন তারা কোরহ, দাথন আর অবীরামের তাম্বুর কাছ থেকে সরে যায়।”
25. এই কথা শুনে মোশি উঠে দাথন ও অবীরামের কাছে গেলেন আর ইস্রায়েলীয় বৃদ্ধ নেতারা তাঁর পিছনে পিছনে গেলেন।
26. মোশি ইস্রায়েলীয়দের বললেন, “তোমরা এই দুষ্ট লোকদের তাম্বুর কাছ থেকে সরে যাও। তাদের কোন জিনিস তোমরা ছুঁয়ো না; যদি তা কর তবে তাদের পাপের জন্য তোমাদেরও শেষ করে ফেলা হবে।”
27. এই কথা শুনে লোকেরা কোরহ, দাথন ও অবীরামের তাম্বুর কাছ থেকে সরে গেল। এর মধ্যে দাথন ও অবীরাম তাদের স্ত্রী ও ছোট-বড় ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাম্বুর দরজার কাছে বের হয়ে এসে দাঁড়িয়ে ছিল।
28. মোশি তখন ইস্রায়েলীয়দের বললেন, “এতেই তোমরা বুঝতে পারবে যে, আমি যা করছি তা করবার জন্য সদাপ্রভুই আমাকে পাঠিয়েছেন; এটা আমার মনগড়া কিছু নয়।