10. কিন্তু দলের সবাই যিহোশুয় ও কালেবকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলবার কথা বলতে লাগল। তখন মিলন-তাম্বু থেকে সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের সামনে সদাপ্রভুর মহিমা দেখা দিল।
11. সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আর কত কাল এই লোকগুলো আমাকে তুচ্ছ করে চলবে? তাদের মধ্যে আমি যে সব আশ্চর্য চিহ্ন দেখিয়েছি তার পরেও আর কতকাল তারা আমাকে অবিশ্বাস করবে?
12. আমি একটা মড়ক আনব আর প্রতিজ্ঞা করা দেশের অধিকার তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেব, কিন্তু তোমার মধ্য থেকে আমি তাদের চেয়েও বড় এবং শক্তিশালী একটা জাতি সৃষ্টি করব।”
13. এই কথা শুনে মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “তা যদি কর তবে কথাটা মিসরীয়দের কানে যাবে। তাদের মধ্য থেকেই তো তুমি তোমার নিজের ক্ষমতায় এই সব লোকদের নিয়ে এসেছ।
14. সেই কথা তখন মিসরীয়েরা এই দেশের লোকদেরও বলবে। হে সদাপ্রভু, এর মধ্যেই এই দেশের লোকেরা শুনেছে যে, তুমি ইস্রায়েলীয়দের সংগে সংগে আছ, আর হে সদাপ্রভু, তোমাকে খুব কাছেই দেখা যায়। তারা শুনেছে যে, তোমার মেঘ এদের উপর আছে আর দিনের বেলা তুমি মেঘের থামের মধ্যে এবং রাতের বেলা আগুনের থামের মধ্যে থেকে এদের আগে আগে চল।
15. তাই তুমি যদি এদের সবাইকে একসংগে মেরে ফেল তবে যে সব জাতি তোমার সম্বন্ধে ঐ সব কথা শুনেছে তারা বলবে যে,
16. সদাপ্রভু ঐ লোকদের কাছে যে দেশ দেবার শপথ করেছিলেন সেখানে নিয়ে যাবার ক্ষমতা নেই বলেই তিনি মরু-এলাকাতে তাদের মেরে ফেলেছেন।
17. “এখন হে প্রভু, তুমি তোমার ক্ষমতা দেখাও। তুমি তো ঘোষণা করেছিলে,
18. ‘সদাপ্রভু সহজে অসন্তুষ্ট হন না, তাঁর ভালবাসার সীমা নেই এবং তিনি অন্যায় ও বিদ্রোহ ক্ষমা করেন, কিন্তু দোষীকে তিনি শাস্তি দিয়ে থাকেন; তিনি বাবার অন্যায়ের শাস্তি তার বংশের তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত দিয়ে থাকেন।’
19. মিসর দেশ ছেড়ে আসবার সময় থেকে এই পর্যন্ত তুমি যেমন তাদের ক্ষমা করে আসছ তেমনি তোমার সেই অটল ভালবাসার সংগে মিল রেখে তুমি এই লোকদের অন্যায় ক্ষমা কর।”
20. তখন সদাপ্রভু বললেন, “তোমার কথামত আমি তাদের পাপ ক্ষমা করলাম।
21. কিন্তু আমি বেঁচে আছি এই কথা যেমন সত্যি এবং সারা দুনিয়া আমার মহিমায় পরিপূর্ণ এই কথা যেমন সত্যি তেমনই সত্যি যে,