19. মিসর দেশ ছেড়ে আসবার সময় থেকে এই পর্যন্ত তুমি যেমন তাদের ক্ষমা করে আসছ তেমনি তোমার সেই অটল ভালবাসার সংগে মিল রেখে তুমি এই লোকদের অন্যায় ক্ষমা কর।”
20. তখন সদাপ্রভু বললেন, “তোমার কথামত আমি তাদের পাপ ক্ষমা করলাম।
21. কিন্তু আমি বেঁচে আছি এই কথা যেমন সত্যি এবং সারা দুনিয়া আমার মহিমায় পরিপূর্ণ এই কথা যেমন সত্যি তেমনই সত্যি যে,
22-23. এই লোকদের একজনও সেই দেশ দেখতে পাবে না, যে দেশ দেব বলে আমি তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছিলাম। এর কারণ হল, এই লোকেরা আমার মহিমা এবং মিসরে আর মরু-এলাকায় দেখানো আমার আশ্চর্য চিহ্নগুলো দেখেও আমাকে অগ্রাহ্য করেছে এবং দশ দশবার আমার পরীক্ষা করেছে। যারা আমাকে তুচ্ছ করেছে তারা কেউই সেই দেশ দেখতে পাবে না।
24. কিন্তু আমার দাস কালেবের মনে সেই রকম ভাব নেই এবং সে আমার কথা পুরোপুরি মেনে চলে। সেইজন্য যে দেশে সে গিয়েছিল আমি তাকে সেই দেশে নিয়ে যাব আর তার বংশধরেরা তা সম্পত্তি হিসাবে পাবে।
25. সেই সব উপত্যকায় এখন অমালেকীয় ও কনানীয়েরা বাস করছে। তোমরা আগামী কাল পিছন ফিরে আকাবা উপসাগরের রাস্তা ধরে মরু-এলাকার দিকে যাত্রা করবে।”
26. এর পর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
27. “আর কতকাল এই দুষ্ট জাতি আমার বিরুদ্ধে বক্বক্ করবে? তাদের বক্বক্ করা আমি শুনেছি।”
28. সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে ইস্রায়েলীয়দের বলতে বললেন, “আমার জীবনের দিব্য দিয়ে বলছি যে, আমি সদাপ্রভু তোমাদের যা বলতে শুনেছি তা-ই আমি তোমাদের প্রতি করব।
29. তোমাদের মধ্যে বিশ বছর বা তারও বেশী বয়সের যাদের লোকগণনার সময় গোণা হয়েছিল, অর্থাৎ যারা আমার বিরুদ্ধে বক্বক্ করেছিল, তাদের মৃতদেহ এই মরু-এলাকাতেই পড়ে থাকবে।
30. বাস করবার জন্য যে দেশ তোমাদের দেব বলে আমি শপথ করেছিলাম একমাত্র যিফুন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় ছাড়া আর কেউ সেই দেশে ঢুকতে পারবে না।
31. তোমাদের যে ছেলেমেয়েদের কেড়ে নেওয়া হবে বলে তোমরা বলেছিলে সেই ছেলেমেয়েদেরই আমি সেই দেশে নিয়ে যাব। এই ছেলেমেয়েরাই সেই দেশ ভোগ করবে যা তোমরা পায়ে ঠেলে দিয়েছ।