18. দেশটা কেমন তা তোমরা দেখবে। তোমরা দেখবে, সেখানে যারা বাস করে তারা দুর্বল না শক্তিশালী এবং সংখ্যায় তারা বেশী না কম,
19. কি রকম দেশে তারা বাস করে এবং সেটা ভাল, না মন্দ। যে সব শহরে তারা বাস করে সেগুলো কি দেয়াল ছাড়া, না দেয়াল ঘেরা?
20. সেখানকার মাটিতে কি ভাল ফসল জন্মায়, না জন্মায় না? সেখানে গাছপালা আছে, না নেই? সেখানকার কিছু ফল নিয়ে আসবার জন্য তোমরা খুব চেষ্টা করবে।” সেই সময় আংগুর তোলা মাত্র শুরু হয়েছিল।
21. তখন তারা গিয়ে সীন মরু-এলাকা থেকে শুরু করে হমাতের দিকে রহোব পর্যন্ত দেশটার খোঁজ-খবর নিয়ে আসলেন।
22. তাঁরা নেগেভের মধ্য দিয়ে গিয়ে হিব্রোণ শহরে উপস্থিত হলেন। হিব্রোণ শহরটা গড়ে উঠেছিল মিসরের সোয়ন শহর গড়ে উঠবার সাত বছর আগে। সেখানে অনাকের বংশের অহীমান, শেশয় ও তল্ময় নামে তিনজন লোক ছিল।
23. নেতারা ইষ্কোল উপত্যকাতে গিয়ে এক থোকা আংগুর সুদ্ধ একটা ডাল কেটে নিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন সেটা লাঠিতে ঝুলিয়ে বয়ে নিয়ে এসেছিলেন। এছাড়া তাঁরা কিছু ডালিম আর ডুমুরও নিয়ে এসেছিলেন।
24. ইস্রায়েলীয়েরা সেখানে সেই আংগুরের থোকাটা কেটেছিলেন বলে সেই জায়গার নাম হয়েছিল ইষ্কোল উপত্যকা।
25. দেশটার খোঁজ-খবর নিয়ে তাঁরা চল্লিশ দিন পরে ফিরে আসলেন।
26. সেই নেতারা পারণ মরু-এলাকার কাদেশে মোশি, হারোণ এবং সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের কাছে ফিরে আসলেন। তাঁরা মোশি, হারোণ এবং অন্যান্য লোকদের কাছে সব কথা জানালেন এবং সেই দেশের ফল দেখালেন।
27. তাঁরা মোশিকে বললেন, “আপনি আমাদের যে দেশে পাঠিয়েছিলেন আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। দেশটাতে সত্যিই দুধ, মধু আর কোন কিছুর অভাব নেই। এই হল সেখানকার ফল।
28. কিন্তু যারা সেখানে বাস করে তাদের গায়ে শক্তি বেশী এবং তাদের শহরগুলোও বেশ বড় বড় আর দেয়াল দিয়ে ঘেরা। অনাকের বংশের লোকদেরও আমরা সেখানে দেখেছি।
29. অমালেকীয়েরা থাকে নেগেভে; হিত্তীয়, যিবূষীয় ও ইমোরীয়েরা থাকে পাহাড়ী এলাকায় আর কনানীয়েরা থাকে সমুদ্রের কাছে এবং যর্দন নদীর কিনারা ধরে।”
30. তখন মোশির সামনে যে সব লোক ছিল কালেব তাদের গোলমাল থামিয়ে বললেন, “সেখানে গিয়ে দেশটা আমাদের দখল করে নেওয়া উচিত। আমরা তা নিশ্চয়ই করতে পারব।”
31. কিন্তু যাঁরা তাঁর সংগে গিয়েছিলেন তাঁরা বললেন, “ঐ লোকদের সংগে যুদ্ধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়; আমাদের চেয়ে তাদের গায়ে শক্তি বেশী।”
32. তাঁরা যে দেশটার খোঁজ-খবর নিয়ে এসেছিলেন ইস্রায়েলীয়দের কাছে সেই দেশ সম্বন্ধে একটা বাজে কথা রটিয়ে দিয়ে বললেন, “আমরা যে দেশের খোঁজ-খবর নিয়ে এসেছি সেই দেশটা তার বাসিন্দাদের গিলে খেয়ে ফেলে। যে সব লোক আমরা সেখানে দেখেছি তারা দেখতে খুব বড়।
33. আমরা সেখানে নেফিলীয়দের দেখেছি। অনাকের বংশের লোকেরা তো জাতে নেফিলীয়। তাদের দেখে আমরা নিজেদের মনে করলাম ঘাস-ফড়িং আর তারাও আমাদের তা-ই মনে করল।”