19. শিমিয়োন-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েলের উপর,
20. আর গাদ-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফের উপর।
21. এদের পরে আবাস-তাম্বুর পবিত্র জিনিসপত্র নিয়ে কহাতীয়েরা রওনা হল। কহাতীয়েরা পৌঁছাবার আগেই আবাস-তাম্বুটা খাটিয়ে ফেলবার কথা ছিল।
22. এদের পরে রওনা হল ইফ্রয়িম-বিভাগের বিভিন্ন দল তাদের বিভাগীয় পতাকার তলায়। ইফ্রয়িম-গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা।
23. মনঃশি-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েলের উপর,
24. আর বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল গিদিয়োনির ছেলে অবীদানের উপর।
25. সবার শেষে রওনা হল দান-বিভাগের বিভিন্ন দল তাদের বিভাগীয় পতাকার তলায়। এরা রক্ষীদল হিসাবে সমস্ত দলগুলোর পিছনে গেল। দান-গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর।
26. আশের-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল অক্রণের ছেলে পগীয়েলের উপর,
27. আর নপ্তালি-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল ঐননের ছেলে অহীরয়ের উপর।
28. ইস্রায়েলীয় বিভিন্ন দলগুলো এইভাবে পর পর রওনা হয়ে গিয়েছিল।
29. এর পর মোশি তাঁর শ্বশুর মিদিয়নীয় রূয়েলের ছেলে হোববকে বললেন, “সদাপ্রভু যে দেশ আমাদের দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন আমরা সেই দেশের দিকে রওনা হচ্ছি। তুমি আমাদের সংগে চল। আমরা তোমার মংগলই করব, কারণ সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের অনেক মংগল করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।”
30. উত্তরে হোবব বলল, “না, আমি যাব না। আমি আমার নিজের দেশে নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাচ্ছি।”
31. কিন্তু মোশি বললেন, “না, না, তুমি আমাদের ছেড়ে চলে যেয়ো না। তোমার জানা আছে মরু-এলাকার মধ্যে কোথায় আমাদের তাম্বু ফেলা উচিত, কাজেই তুমি হবে আমাদের চোখ।
32. তুমি যদি আমাদের সংগে আস তবে সদাপ্রভু আমাদের যে মংগল করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন তার ভাগ আমরা তোমাকেও দেব।”
33. এইভাবে ইস্রায়েলীয়েরা সদাপ্রভুর পাহাড়ের কাছ থেকে রওনা হয়ে তিন দিনের পথ এগিয়ে গেল। তাদের বিশ্রামের জন্য একটা জায়গা খুঁজে বের করবার উদ্দেশ্যে সেই তিন দিন পর্যন্ত সদাপ্রভুর ব্যবস্থা-সিন্দুকটি তাদের আগে আগে গেল।
34. ছাউনি তুলে রওনা হওয়ার পর দিনের বেলা সদাপ্রভুর মেঘ ইস্রায়েলীয়দের উপরে থাকত।
35. যখনই সাক্ষ্য-সিন্দুকটি রওনা হত মোশি বলতেন, “হে সদাপ্রভু, ওঠো। তোমার শত্রুরা সব ছড়িয়ে পড়ুক আর যারা তোমাকে ঘৃণার চোখে দেখে তারা তোমার সামনে থেকে পালিয়ে যাক।”