5. আমি দেহে তোমাদের মধ্যে উপস্থিত না থাকলেও আত্মায় উপস্থিত আছি এবং তোমাদের ভাল চালচলন ও খ্রীষ্টের উপর তোমাদের স্থির বিশ্বাস দেখে আনন্দ পাচ্ছি।
6. তোমরা যেভাবে খ্রীষ্ট যীশুকে প্রভু হিসাবে গ্রহণ করেছ ঠিক সেইভাবে তাঁর সংগে যুক্ত হয়ে তোমাদের জীবন কাটাও।
7. খ্রীষ্টের মধ্যে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে তাঁরই মধ্যে তোমরা গড়ে উঠতে থাক। তোমরা শিক্ষা পেয়ে যা বিশ্বাস করেছ তাতে স্থির থাক এবং ঈশ্বরকে সব সময় ধন্যবাদ দিতে থাক।
8. তোমরা সাবধান হও, যেন কেউ মানুষের ফাঁপা ছলনাপূর্ণ দর্শনের শিক্ষা দ্বারা তোমাদের বন্দী হিসাবে টেনে নিতে না পারে। খ্রীষ্টের সংগে সেই শিক্ষার কোন সম্বন্ধ নেই; মানুষের গড়া চলতি নিয়ম এবং জগতের নানা রীতিনীতির উপরেই তা নির্ভর করে।
9. ঈশ্বরের সমস্ত পূর্ণতা খ্রীষ্টের মধ্যে দেহ নিয়ে বাস করছে, আর খ্রীষ্টের সংগে যুক্ত হয়ে তোমরাও সেই পূর্ণতা পেয়েছ।
10. তিনি মহাকাশের সমস্ত শাসনকর্তা ও ক্ষমতার অধিকারীদের উপরে।
11. এছাড়া তোমরা খ্রীষ্টের সংগে যুক্ত হয়েছ বলে তোমাদের সুন্নতও করানো হয়েছে। এই সুন্নত কোন মানুষের হাতে করানো হয় নি, খ্রীষ্ট নিজেই তা করেছেন; অর্থাৎ দেহের উপর পাপ-স্বভাবের যে শক্তি ছিল সেই শক্তি থেকে তিনি তোমাদের মুক্ত করেছেন।
12. বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টের সংগে তোমাদের কবর হয়েছে; শুধু তা-ই নয়, যিনি মৃত্যু থেকে খ্রীষ্টকে জীবিত করে তুলেছেন সেই ঈশ্বরের শক্তির উপর বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে তোমাদের খ্রীষ্টের সংগে জীবিত করে তোলাও হয়েছে।
13. তোমরা তো পাপের দরুন এবং সুন্নত-না-করানোর দরুন মৃত ছিলে, কিন্তু ঈশ্বর তোমাদের খ্রীষ্টের সংগে জীবিত করেছেন। তিনি আমাদের সব পাপ ক্ষমা করেছেন,
14. আর আমাদের বিরুদ্ধে যে দলিল ছিল তার সমস্ত দাবি- দাওয়া সুদ্ধ তা বাতিল করে দিয়েছেন। সেই দলিল তিনি ক্রুশে পেরেক দিয়ে গেঁথে নাকচ করে ফেলেছেন।
15. তিনি মহাকাশের সমস্ত মন্দ শাসনকর্তা ও ক্ষমতার অধিকারীদের ক্ষমতা নষ্ট করেছেন। আর এইভাবে তিনি খ্রীষ্টের ক্রুশের মধ্য দিয়ে তাদের উপর জয়লাভ করেছেন এবং সকলের সামনে তাদের অসম্মানিত করেছেন।
16. সেইজন্য খাওয়া-দাওয়া বা ধর্মীয় কোন পর্ব কিম্বা অমাবস্যা বা বিশ্রামবার নিয়ে তোমাদের দোষ দেবার অধিকার কারও নেই।
17. এগুলো তো ছিল ভবিষ্যতে যা হবে তার ছায়া, কিন্তু যা আসল তা খ্রীষ্টের মধ্যেই আছে।