18. এছাড়া তিনিই তাঁর দেহের, অর্থাৎ মণ্ডলীর মাথা। তিনিই প্রথম আর তিনিই মৃত্যু থেকে প্রথম জীবিত হয়েছিলেন, যেন সব কিছুতে তিনিই প্রধান হতে পারেন।
19. ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন তাঁর সব পূর্ণতা খ্রীষ্টের মধ্যেই থাকে।
20. তা ছাড়া পৃথিবীতে হোক বা স্বর্গে হোক, খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে তাঁর নিজের সংগে সব কিছুর মিলনও তিনি চেয়েছিলেন। খ্রীষ্ট ক্রুশের উপর তাঁর রক্ত দান করে শান্তি এনেছিলেন বলেই এই মিলন হতে পেরেছে।
21. এক সময় তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে ছিলে এবং তাঁর বিরুদ্ধে তোমাদের মনে শত্রুভাব ছিল। তোমাদের মন্দ কাজের মধ্যে তা প্রকাশ পেয়েছে।
22. কিন্তু খ্রীষ্টের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাঁর দেহের দ্বারা ঈশ্বর নিজের সংগে এখন তোমাদের মিলিত করেছেন, যেন তিনি তোমাদের পবিত্র, নিখুঁত ও নির্দোষ অবস্থায় নিজের সামনে উপস্থিত করতে পারেন।
23. অবশ্য এর জন্য খ্রীষ্টের বিষয়ে সুখবর থেকে যে নিশ্চিত আশা তোমরা পেয়েছ তা থেকে দূরে সরে না গিয়ে তোমাদের বিশ্বাসে স্থির থাকতে হবে। সেই সুখবর সারা জগতে প্রচার করা হয়েছে এবং তোমরা তা শুনেছ। আমি পৌল এই সুখবরের প্রচারক হয়েছি।
24. তোমাদের জন্য আমি যে কষ্ট ভোগ করছি তাতে আমি আনন্দই পাচ্ছি। খ্রীষ্টের দেহের, অর্থাৎ মণ্ডলীর জন্য তাঁর যে দুঃখভোগ এখনও বাকী আছে তা আমি আমার দেহেই পূর্ণ করছি।
25. ঈশ্বর তাঁর বাক্য তোমাদের কাছে সম্পূর্ণভাবে প্রচার করবার ভার আমার উপর দিয়েছেন বলেই আমি মণ্ডলীর একজন সেবাকারী হয়েছি।
26. ঈশ্বরের বাক্যের মধ্যে যে গুপ্ত সত্য আগেকার লোকদের কাছে যুগ যুগ ধরে লুকানো ছিল, এখন তাঁর লোকদের কাছে তা প্রকাশিত হয়েছে।
27. ঈশ্বর চাইলেন, অযিহূদীদের মধ্যেও তাঁর এই গুপ্ত সত্যের মহা গৌরব যে কি, তা যেন তাঁর সব লোকেরা জানতে পারে। সেই সত্য এই-খ্রীষ্ট তোমাদের অন্তরে আছেন বলে তোমরা মহিমা পাবার আশ্বাস পেয়েছ।
28. আর সেই খ্রীষ্টের বিষয় আমরা প্রচার করি, অর্থাৎ ঈশ্বরের দেওয়া অসীম জ্ঞানের সংগে আমরা প্রত্যেক লোককে সতর্ক করি ও শিক্ষা দিই, যেন প্রত্যেককেই আমরা খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে পূর্ণ করে তুলতে পারি।