10. সে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে সুড়ংগ কাটে;সেখানকার সব মল্যবান জিনিষ তার চোখে পড়ে।
11. সে ঝরণার জল পড়া বন্ধ করেআর লুকানো জিনিষগুলো আলোতে আনে।
12. “কিন্তু জ্ঞান কোথায় পাওয়া যায়?আর বুদ্ধিই বা কোথায় থাকে?
13. লোকে তার মল্য জানে না;জীবিতদের দেশে তা পাওয়া যায় না।
14. গভীর জল বলে, ‘তা আমার মধ্যে নেই,’সাগর বলে, ‘তা আমার কাছে নেই।’
15. খাঁটি সোনা দিয়েও তা কেনা যায় না,অনেক রূপা দিয়েও তার দাম দেওয়া যায় না।
16. ওফীরের সোনা দিয়ে তা কেনা যায় না,বৈদুর্যমণি বা নীলকান্তমণি দিয়েও তা কেনা যায় না।
17. সোনা কিম্বা দামী কাঁচের সংগেও তার তুলনা হয় না,সোনার পাত্রের বদলেও তা পাওয়া যায় না।
18. তার কাছে প্রবাল ও স্ফটিকেরও দাম নেই;পদ্মরাগমণির চেয়েও জ্ঞানের মল্য বেশী।
19. তার সংগে কূশ দেশের পোখরাজমণিরও তুলনা হয় না;খাঁটি সোনা দিয়ে তা কেনা যায় না।
20. “তাহলে জ্ঞান কোথা থেকে আসে?আর বুদ্ধিই বা কোথায় থাকে?
21. সমস প্রাণীর চোখের কাছ থেকে তা লুকানো আছে,এমন কি, আকাশের পাখীদের কাছ থেকেও তা গুপ্ত আছে।
22. নরক ও মৃত্যু বলে, ‘তার একটুখানি উড়ো খবরআমাদের কানে এসে পৌঁছেছে।’
23. “ঈশ্বরই তার পথ বুঝতে পারেন;তিনিই কেবল জানেন তা কোথায় থাকে,
24. কারণ তিনি পৃথিবীর শেষ সীমাও দেখেন;আকাশের নীচের সব কিছুই তাঁর চোখে পড়ে।
25. তিনি যখন বাতাসে শক্তি যোগালেনআর জলের পরিমাণ ঠিক করলেন,