4. তাঁরা আরও বললেন, “যারা এই দালানটা তৈরী করছে তাদের নাম কি?”
5. কিন্তু যিহূদীদের বৃদ্ধ নেতাদের দিকে ঈশ্বর মনোযোগ দিয়েছিলেন। যতদিন না দারিয়াবসের কাছে খবর পাঠানো হল এবং তাঁর কাছ থেকে লিখিত উত্তর পাওয়া গেল ততদিন পর্যন্ত নেতারা কাজ থামিয়ে দিলেন না।
8. মহারাজ যেন জানতে পারেন যে, আমরা যিহূদা প্রদেশে মহান ঈশ্বরের ঘরে গিয়েছিলাম। লোকেরা বড় বড় পাথর দিয়ে ঘরটি তৈরী করছে এবং দেয়ালের উপরে বীম বসাচ্ছে। খুব যত্নের সংগে কাজটা করা হচ্ছে এবং তা সফলতার সংগে এগিয়ে যাচ্ছে।
9. বৃদ্ধ নেতাদের আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, “উপাসনা-ঘরটি আবার তৈরী করবার জন্য কে তোমাদের আদেশ দিয়েছে?”
10. আমরা তাদের নামও জিজ্ঞাসা করেছি যেন তাদের নেতাদের নাম আপনাকে জানাবার জন্য লিখে রাখতে পারি।
11. উত্তরে তারা আমাদের বলল, “আমরা স্বর্গ ও পৃথিবীর ঈশ্বরের দাস। আমরা সেই উপাসনা-ঘরটি আবার তৈরী করছি যেটি ইস্রায়েলের একজন মহান রাজা অনেক দিন আগে তৈরী করে শেষ করেছিলেন।
12. কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষেরা স্বর্গের ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করেছিলেন বলে তিনি বাবিলের রাজা কল্দীয় নবূখদ্নিৎসরের হাতে তাঁদের তুলে দিয়েছিলেন। নবূখদ্নিৎসর এই উপাসনা-ঘরটি ধ্বংস করেছিলেন এবং লোকদের বন্দী করে বাবিলে নিয়ে গিয়েছিলেন।
13. কিন্তু বাবিলের রাজা কোরসের রাজত্বের প্রথম বছরে তিনি ঈশ্বরের এই ঘরটি আবার তৈরী করবার আদেশ দিয়েছিলেন।
14. এমন কি, তিনি বাবিলের মন্দির থেকে ঈশ্বরের ঘরের সেই সব সোনা ও রূপার পাত্রগুলো বের করে দিয়েছিলেন যা নবূখদ্নিৎসর যিরূশালেমের উপাসনা-ঘর থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। রাজা কোরস সেগুলো তাঁর নিযুক্ত শাসনকর্তা শেশ্বসরের হাতে দিয়েছিলেন।
15. রাজা তাঁকে বলেছিলেন যে, তিনি যেন যিরূশালেমে আগের জায়গাতেই ঈশ্বরের ঘরটি আবার তৈরী করেন এবং সেই জিনিসগুলো নিয়ে গিয়ে সেখানে জমা রাখেন।
16. কাজেই শেশ্বসর এসে যিরূশালেমে ঈশ্বরের ঘরের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত সেটি তৈরীর কাজ চলছে, এখনও শেষ হয় নি।”
17. এখন মহারাজ যদি চান তবে বাবিলের রাজ-সরকারের নথিপত্র রাখবার জায়গায় খোঁজ করে দেখতে পারেন যে, যিরূশালেমে ঈশ্বরের এই ঘরটি তৈরী করবার আদেশ রাজা কোরস সত্যিই দিয়েছিলেন কি না। তারপর এই ব্যাপারে মহারাজ যা ঠিক করবেন তা যেন আমাদের জানিয়ে দেন।