1. সেই দিনই রাজা অহশ্বেরশ যিহূদীদের শত্রু হামনের সম্পত্তি রাণী ইষ্টেরকে দিলেন। এর পর মর্দখয় রাজার সামনে উপস্থিত হলেন, কারণ ইষ্টেরের সংগে তাঁর সম্বন্ধের কথা ইষ্টের রাজাকে জানিয়েছিলেন।
2. রাজা তাঁর স্বাক্ষর দেওয়ার যে আংটিটা হামনের কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছিলেন সেটা নিজের হাত থেকে খুলে নিয়ে মর্দখয়কে দিলেন। ইষ্টের হামনের সম্পত্তির উপরে মর্দখয়কে নিযুক্ত করলেন।
3. ইষ্টের রাজার পায়ে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে আবার তাঁর কাছে মিনতি জানালেন। যিহূদীদের বিরুদ্ধে অগাগীয় হামন যে দুষ্ট পরিকল্পনা করেছিল তা বন্ধ করে দেবার জন্য তিনি রাজাকে অনুরোধ করলেন।
4. তখন রাজা তাঁর সোনার রাজদণ্ডটা ইষ্টেরের দিকে বাড়িয়ে দিলেন আর ইষ্টের উঠে রাজার সামনে দাঁড়ালেন।
5. ইষ্টের বললেন, “মহারাজের যদি ভাল মনে হয়, তিনি যদি আমাকে দয়ার চোখে দেখেন এবং যদি ভাবেন যে, কাজটা করা ন্যায্য আর যদি তিনি আমার উপর খুশী হয়ে থাকেন, তবে মহারাজের সমস্ত বিভাগের যিহূদীদের ধ্বংস করবার জন্য ফন্দী এঁটে অগাগীয় হম্মাদাথার ছেলে হামন যে চিঠি লিখেছিল তা বাতিল করবার জন্য একটা আদেশ লেখা হোক।
11-12. রাজা অহশ্বেরশ সেই চিঠিতে অদর মাসের, অর্থাৎ বারো মাসের তেরো দিনের দিন যাতে তাঁর রাজ্যের প্রত্যেক শহরের যিহূদীরা একত্র হয়ে নিজেদের রক্ষা করতে পারে সেই অধিকার দিলেন। কোন জাতির বা বিভাগের লোকেরা যিহূদীদের ও তাদের স্ত্রীলোক ও ছেলেমেয়েদের আক্রমণ করলে তারা সেই দলকে ধ্বংস করবার, অর্থাৎ মেরে ফেলবার, অর্থাৎ একেবারে শেষ করে দেবার অধিকার পেল, আর সেই শত্রুদের সম্পত্তি লুট করবারও অধিকার পেল।