2. আর অব্রাহাম সব জিনিসের দশ ভাগের এক ভাগ তাঁকে দিয়েছিলেন। মল্কীষেদক শব্দটার অর্থ হল ন্যায়ের রাজা। মল্কীষেদক আবার শালেমেরও রাজা ছিলেন, আর তার অর্থ হল শান্তির রাজা।
3. মল্কীষেদকের মা-বাবা বা কোন বংশ-তালিকা ছিল না। ঈশ্বরের পুত্রের মত তাঁর জীবনের আরম্ভও ছিল না, শেষও ছিল না; তিনি চিরকালের পুরোহিত।
4. দেখ, মল্কীষেদক কত মহান! আমাদের মহান পূর্বপুরুষ অব্রাহামও তাঁকে সব কিছুর দশ ভাগের এক ভাগ দিয়েছিলেন।
5. লেবির বংশের মধ্যে যাঁরা পুরোহিত হন, ইস্রায়েলীয়দের কাছ থেকে, অর্থাৎ তাঁদের ভাইদের কাছ থেকে আইন মত দশ ভাগের এক ভাগ তাঁদের আদায় করতে হয়। এই ভাইয়েরা অব্রাহামের বংশধর হলেও তা করতে হয়।
6. কিন্তু এই মল্কীষেদক লেবির বংশধর না হয়েও অব্রাহামের কাছ থেকে দশ ভাগের এক ভাগ আদায় করেছিলেন এবং যাঁর কাছে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সেই অব্রাহামকে আশীর্বাদও করেছিলেন।
7. এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আশীর্বাদ যে পায় তার চেয়ে যিনি আশীর্বাদ করেন তিনিই মহান।
8. একদিকে দেখা যাচ্ছে, মৃত্যুর অধীন লেবীয়েরাই দশ ভাগের এক ভাগ আদায় করে; কিন্তু অন্য দিকে দেখা যাচ্ছে, যিনি জীবিত আছেন বলে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে তিনি, অর্থাৎ মল্কীষেদকই দশ ভাগের এক ভাগ আদায় করছেন।
11. যাঁরা পুরোহিতের কাজ করতেন সেই লেবির বংশধরদের কাজের উপর ভিত্তি করে ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের তাঁর আইন-কানুন দিয়েছিলেন। লেবির বংশের পুরোহিতদের কাজের মধ্য দিয়ে যদি পূর্ণতা লাভ করা যেত, তবে প্রথম লেবীয় পুরোহিত হারোণের বদলে মল্কীষেদকের মত অন্য আর একজন পুরোহিতের আসবার কি দরকার ছিল?
12. যখন পুরোহিতের পদ বদলানো হয় তখন আইন-কানুনও বদলাবার দরকার হয়।
13. যাঁর বিষয়ে আমি এই সব কথা বলছি সেই যীশু লেবির বংশ থেকে আসেন নি বরং অন্য এক বংশ থেকে এসেছিলেন। সেই বংশের কেউ কখনও পুরোহিত হিসাবে বেদীর উপর পশু উৎসর্গ করেন নি।
14. এটা স্পষ্ট যে, আমাদের প্রভু যিহূদার বংশ থেকে এসেছিলেন। এই বংশ থেকে কোন লোক যে পুরোহিত হবে সেই কথা মোশি কখনও বলেন নি।
15. তাহলে যখন মল্কীষেদকের মত আর একজন পুরোহিত উপস্থিত হয়েছেন তখন আমরা যা বলেছি তা আরও পরিষ্কার ভাবে বুঝা যাচ্ছে।