17. তোমরা জান, পরে যদিও সে কেঁদে কেঁদে আশীর্বাদ ভিক্ষা করেছিল তবুও তাঁকে অগ্রাহ্য করা হয়েছিল, কারণ মন ফিরাবার সুযোগ তখন আর তার ছিল না।
18-19. যে জ্বলন্ত পাহাড় ছোঁয়া যায় সেই রকম কোন পাহাড়ের কাছে তোমরা আস নি। তোমরা ভীষণ অন্ধকার ও ঝড় বা কোন তূরীর শব্দ ও কথার শব্দের কাছেও আস নি। যারা সেই কথা শুনেছিল তারা মিনতি করে বলেছিল যেন তাদের কাছে আর কিছু বলা না হয়,
20. কারণ তারা এই নির্দেশ সহ্য করতে পারে নি-“কোন পশুও যদি সেই পাহাড় ছোঁয় তবে তাকে পাথর মারা হবে।”
21. যা দেখা গিয়েছিল তা এমন ভয়ংকর ছিল যে, মোশি বলেছিলেন, “আমি ভয়ে কাঁপছি।”
22. তোমরা তো সিয়োন পাহাড় ও জীবন্ত ঈশ্বরের শহরের কাছে এসেছ। সেই শহর হল স্বর্গের যিরূশালেম। তোমরা হাজার হাজার স্বর্গদূতদের আনন্দ উৎসবের কাছে এসেছ;
23. প্রথম সন্তানের অধিকার পাওয়া লোক হিসাবে যাঁদের নাম স্বর্গে লেখা আছে তাঁদের দ্বারা গড়া মণ্ডলীর কাছে এসেছ; যিনি সব লোকদের বিচারক সেই ঈশ্বরের কাছে এসেছ; যে সব লোকেরা পূর্ণতা লাভ করেছে সেই সব নির্দোষ লোকদের আত্মার কাছে এসেছ;
24. যিনি একটি নতুন ব্যবস্থার মধ্যস্থ সেই যীশুর কাছে এসেছ; আর হেবলের রক্তের চেয়ে যে রক্ত আরও মহৎ কথা বলে, তোমরা সেই ছিটানো রক্তের কাছে এসেছ।
25. সাবধান! যিনি কথা বলছেন তাঁর কথা অগ্রাহ্য কোরো না। মোশি ঈশ্বরের সাবধানবাণী পৃথিবীতে জানাবার পর লোকেরা তাঁর কথা অগ্রাহ্য করেছিল বলে যখন রেহাই পায় নি, তখন যিনি স্বর্গ থেকে আমাদের সাবধান করছেন তাঁর কথা অগ্রাহ্য করলে আমরা যে কিছুতেই রেহাই পাব না তাতে কোন সন্দেহ নেই।
26. সেই সময় ঈশ্বরের মুখের কথাই জগতকে নাড়া দিয়েছিল, কিন্তু এখন তিনি এই প্রতিজ্ঞা করেছেন, “আমি যে কেবল আর একবার পৃথিবীকে নাড়াব তা নয়, কিন্তু আকাশকেও নাড়াব।”
27. “আর একবার,” এই শব্দ দু’টি থেকে বুঝা যাচ্ছে, যে জিনিসগুলো নাড়ানো যায়, অর্থাৎ যা সৃষ্টি করা হয়েছে তা বাদ দেওয়া হবে, যেন যে জিনিসগুলো নাড়ানো যায় না সেগুলো স্থির থাকে।
28. সেইজন্য যে রাজ্যকে নাড়ানো যায় না আমরা যখন সেই রাজ্য পেতে যাচ্ছি তখন এস, আমরা ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ হই। তাহলে ঈশ্বর যেভাবে খুশী হন সেইভাবে আমরা ভক্তি ও ভয়ের সংগে তাঁর সেবা করতে পারব।
29. আমাদের ঈশ্বর ধ্বংসকারী আগুনের মত।