14. যাঁরা তা স্বীকার করেন তাঁরা পরিষ্কার ভাবে বুঝান যে, তাঁরা নিজেদের জন্য একটা দেশের খোঁজ করছেন।
15. যে দেশ থেকে তাঁরা বের হয়ে এসেছিলেন যদি সেই দেশের কথা তাঁরা চিন্তা করতেন তবে তো সেই দেশে ফিরে যাবার সব সুযোগই তাঁরা পেতেন।
16. কিন্তু তাঁরা আরও ভাল একটা দেশের, অর্থাৎ স্বর্গের খোঁজ করছিলেন। সেইজন্যই ঈশ্বর নিজেকে তাঁদের ঈশ্বর বলতে লজ্জা বোধ করেন না, কারণ তিনি তাঁদেরই জন্য একটা শহর তৈরী করেছিলেন।
17. অব্রাহামকে পরীক্ষা করবার সময় তিনি ঈশ্বরের উপর বিশ্বাসের জন্যই ইস্হাককে উৎসর্গ করেছিলেন। যাঁর কাছে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনিই তাঁর অদ্বিতীয় ছেলেকে উৎসর্গ করতে যাচ্ছিলেন।
18. এ সেই ছেলে যাঁর বিষয়ে ঈশ্বর বলেছিলেন, “ইস্হাকের বংশকেই তোমার বংশ বলে ধরা হবে।”
19. অব্রাহাম তাঁকে উৎসর্গ করতে রাজী হলেন, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন ঈশ্বর মৃতকে জীবিত করতে পারেন। আর বলতে কি, অব্রাহাম তো মৃত্যুর দুয়ার থেকেই ইস্হাককে ফিরে পেয়েছিলেন।
20. বিশ্বাস করেই ইস্হাক ভবিষ্যতের জন্য যাকোব ও এষৌকে আশীর্বাদ করেছিলেন।
21. বিশ্বাস করেই যাকোব মারা যাবার সময় যোষেফের দুই ছেলেকে আশীর্বাদ করেছিলেন আর লাঠির উপর ভর করে ঈশ্বরের উপাসনা করেছিলেন।
22. বিশ্বাস করেই যোষেফ মারা যাবার সময়ে মিসর দেশ থেকে ইস্রায়েলীয়দের চলে যাবার কথা বলেছিলেন এবং তাঁর মৃতদেহ কি করতে হবে তা-ও বলেছিলেন।
23. মোশির জন্মের পর তাঁর মা-বাবা বিশ্বাস করেই তিন মাস তাঁকে লুকিয়ে রেখেছিলেন, কারণ তাঁরা দেখেছিলেন ছেলেটি সুন্দর আর তাঁরা রাজার হুকুমের ভয় করলেন না।
24. বিশ্বাসের জন্যই মোশি বড় হবার পর চাইলেন না, কেউ তাঁকে ফরৌণের মেয়ের ছেলে বলে ডাকে।
25. তিনি পাপের অস্থায়ী আনন্দ বাদ দিয়ে ঈশ্বরের লোকদের সংগে অত্যাচার ভোগ করাই বেছে নিলেন।
26. তিনি মিসরের ধন-সম্পত্তির চেয়ে খ্রীষ্টের জন্য অপমানিত হওয়ার মূল্য অনেক বেশী মনে করলেন, কারণ তাঁর চোখ ছিল পুরস্কারের দিকে।