27. আছে কেবল বিচারের জন্য ভীষণ ভয়ে অপেক্ষা করে থাকা এবং ঈশ্বরের শত্রুদের ছাই করে ফেলবার মত জ্বলন্ত ক্রোধ।
28. কেউ মোশির আইন-কানুন অস্বীকার করলে কোন মমতা না পেয়েই দুই বা তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ফলে তাকে মরতে হয়।
29. তাহলে ঈশ্বরের পুত্রকে যে ঘৃণা করেছে, যে রক্তে সে শুচি হয়েছে ঈশ্বরের সেই ব্যবস্থার রক্তকে যে অপবিত্র মনে করেছে এবং যিনি দয়া করেন সেই পবিত্র আত্মাকে যে অপমান করেছে, ভেবে দেখ, সে আরও কত বেশী শাস্তির যোগ্য!
30. আমরা তাঁকে জানি যিনি বলেছেন, “অন্যায়ের শাস্তি দেবার অধিকার কেবল আমারই আছে; যার যা পাওনা আমি তাকে তা-ই দেব।” তিনি আর এক জায়গায় বলেছেন, “প্রভুই তাঁর লোকদের প্রতি ন্যায়বিচার করবেন।”
31. জীবন্ত ঈশ্বরের হাতে পড়া কি ভয়ংকর ব্যাপার!
32. আগের দিনগুলোর কথা মনে করে দেখ। তখন আলো পেয়ে দুঃখভোগের ভীষণ কষ্টের মধ্যেও তোমরা স্থির ছিলে।
33. কোন কোন সময় সকলের সামনে অপমান ও অত্যাচার সহ্য করে তোমরা ঠাট্টার পাত্র হয়ে দুঃখভোগ করেছিলে; যাদের উপর ঐ রকম ব্যবহার করা হয়েছিল তাদের সংগে দুঃখভোগ করেছিলে;
34. আর যারা জেলে গিয়েছিল তাদের দুঃখে দুঃখী হয়েছিলে। তোমাদের জিনিসপত্র লুট হয়ে যাওয়া তোমরা আনন্দের সংগেই মেনে নিয়েছিলে, কারণ তোমরা জানতে যে, আরও ভাল ও স্থায়ী ধন তোমাদের জন্য রয়েছে।
35. সেইজন্য তোমরা সাহস হারায়ো না, কারণ এর পুরস্কার খুব মহৎ।
36. তোমাদের স্থির থাকা দরকার, যাতে ঈশ্বরের ইচ্ছামত কাজ করবার পরে ঈশ্বর যা দিতে প্রতিজ্ঞা করেছেন তা তোমরা পাও;
37. কারণ ঈশ্বরের কথামত, “যাঁর আসবার কথা আছে তিনি খুব অল্প দিনের মধ্যেই আসবেন, দেরি করবেন না।
38. আর যে লোককে আমি নির্দোষ বলে গ্রহণ করেছি সে বিশ্বাসের দ্বারা জীবন পাবে; কিন্তু কেউ যদি ফিরে যায় তবে তার উপর আমি সন্তুষ্ট হব না।”
39. যারা ফিরে গিয়ে ধ্বংস হয় আমরা তো সেই দলের নই; যারা বিশ্বাস করে উদ্ধার পায় আমরা সেই দলেরই।